পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उठद्धिाद्र দৃষ্টি ) প্ৰয়াসের ফল মাত্র, প্ৰত্যেকে আপনাকে ব{চানই এখানকার প্ৰধান কৰ্ত্তব্য ; তবে এ জীবন তোমার নিকটে অতি হীন ও মলিন হইয়া গেল ; তুমি আর স্বাৰ্থ-চিন্তার উপরে উঠিতে পারিলে না ; এই জীবন-মহাগীতির আস্তরালে এমন কাহার ও গল। চিনিতে পারিলে না, যাহার কণ্ঠস্বর শ্রমের ভারকে লঘু করে, ও দুঃখকে সুখে পরিণত করে । এই জন্যই বলি যে চক্ষু পাইয়াছে সে সকলি পাইয়াছে। এ জগতে চক্ষুমান ব্যক্তিগণ অনেক সময়ে উন্মাদ-রোগগ্ৰস্ত বলিয়। পরিগণিত হইয়াছেন । যেখানে জগতের লোক শূন্য দেখিয়াছে সেখানে তাহারা বলিয়াছেন “ঐ যে প্ৰেমময়ের প্ৰেম মুখ !” যখন স্কুলমতি মানব মনে করিয়াছে ‘‘এইবার আলোক নিবিয়া গেল।” তখন তাহারা বলিয়াছেন। ‘অপেক্ষ কর দশ দিক উজ্জ্বল হইবে।” জগতের ভাষা ও তাঁহাদের ভাষা। সকলই বিভিন্ন হইয়াছে । তাহানের জীবন করুণাময়ের করুণার স্রোতে সুরক্ষিত ইহা জানিয়া তাহারা নিরুদ্দেগে এই জগতে বাস করিয়াছেন ও সত্যের অনুসরণ করিয়াছেন । জীবনের চাবি হাতে পাইয়। তাহারা জড় ও চেতনকে খুলিয়া দেখিয়াছেন এবং সকলের মধ্যেই প্ৰেমরসের আসাদন পাইয়াছেন । সঁহারা ভক্তির দৃষ্টিতে জগৎকে ও জীবনকে দেখিতে পারেন, তাহারাই সৌভাগ্যবান। নিৰ্ম্মলচিত্ত ব্যক্তিরাই এই চক্ষু পাইয়া থাকেন। যেখানে প্ৰেম সেইখানেই চিত্তের নিৰ্ম্মলতা, আবার যেখানে চিত্তের নিৰ্ম্মলতা সেই খানেই