পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ধৰ্ম্মজীবন । কৃপা তাহার উদ্ধারের জন্য অবতীর্ণ না হইলে, তাহার সকল উদ্যমই বৃথা । আমাদের দেশের ভক্তিপথাবিলম্বিগণের কথা ইহা অপেক্ষা অধিক যুক্তিযুক্ত ; তাহার উল্লেখ পরে করিতেছি। সম্প্রতি আর এক প্ৰকার ধৰ্ম্মমতের সমালোচনা করি । এই মতাবলম্বিগণ আত্ম-প্ৰভাবের উপরে অতিরিক্ত ঝোক দিয়া থাকেন । ইহারা বলেন বীজ হইতে বৃক্ষটি উৎপন্ন হওয়া যেমন স্বাভাবিক, মানুষের শুভ বা অশুভ কৰ্ম্ম হইতে সুখ বা দুঃখরূপ ফল উৎপন্ন হওয়া তেমনিই স্বাভাবিক ; মানব এমন কিছুই ভোগ করে না, যাহা তাহার নিজ কৰ্ম্মজনিত নহে। হয়। এ জীবনের কৰ্ম্ম না হয় পুৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্ম । বিষ্ণু পুরাণের ধ্রুবোপাখ্যানে দেখা যায় যে ধ্রুব যখন বিমাতার বাক্যবাণে বিদ্ধ ও মৰ্ম্মাহত হইয়া স্বীয় জননীর নিকট আসিয়া কঁাদিতেছেন, তখন মাতা তাহার সাস্তুনার জন্য বলিতেছেন সুকুতং দুষ্কৃতং বাপি জয়াযৎ কৃতিমোবহি। তৎকোপহুৰ্ত্তং শক্লোতি দাতুত কশ্চাকৃতৎত্বয়া ॥ অর্থ-সুকৃত বা দুষ্কত হউক তুমি যাহা করিয়াছ, তাহ। কে অপহরণ করিতে পারে, এবং তুমি যাহা করি নাই, তাহা কে তোমাকে দিতে পারে। এরূপ উপদেশ আমাদের দেশের প্রাচীন শাস্ত্রে সর্বত্রই পাওয়া যাইবে । মানুষ যাহা করে নাই তাহ কেহই দিতে পারে না, ঈশ্বরও দিতে পারেন না ; এই কাৰ্য্য-কারণ-শৃঙ্খল