পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vitit të Roe এক একটী মণ্ডল আছে। যে কোনও দেশে বা যে কোনও জাতিমধ্যে যে কেহ মণ্ডল-বিশেষে আরোহণ করিয়াছেন, তিনিই যেন এক প্রকার নব সত্যালোক প্ৰাপ্ত হইয়াছেন। এই সকল ধৰ্ম্ম গ্ৰন্থ মধ্যে যে সকল সাধু সজ্জনের উক্তি নিহিত রহিয়াছে, র্তাহারা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ও ভিন্ন ভিন্ন যুগে জন্মিয়া ও অনেক সময় একই প্ৰকার সত্য নিরীক্ষণ করিয়াছেন । কোনও কোনও স্থলে চিন্তা ও ভাষাতে এতই সৌসাদৃশ্য লক্ষিত হয় যে, একটকে অপরটির অনুবাদ বলিয়া মনে হয় । ইহাতে ইহাই প্ৰতিপন্ন হইতেছে, যে ঈশ্বর যে মানব-হৃদয়ে সত্যকে অভিব্যক্তি করেন, তাহার একটা নিয়ম আছে । যিনি যেখানে অজ্ঞাতসারে এই নিয়মকে পুৰ্ণ করিয়াছেন, তঁহারই হৃদয়ে সত্য অভিব্যক্তি হইয়াছে। এই নিয়ম যে কি তাহা নির্দেশ করা সহজ নহে। এই কাৰ্য্যের কঠিনতা অনুভব করিয়াই মহাত্ম যীশু। বলিয়াছিলেন—“বায়ু যথা ইচ্ছা বহমান হয়, তুমি কেবল তাহার শব্দই শ্রবণ করা, কিন্তু বলিতে পার না, কোথা হইতে তাহা আসিতেছে ও কোনদিকে তাহ যাইতেছে ; পরমেশ্বরের প্রেরণাধীন প্ৰত্যেক ব্যক্তি এইরূপ ৷” বাস্তবিক মানবের কাৰ্য্যের মধ্যে এই প্ৰকার অনিদিষ্ট স্বাধীনতা আছে, যাহার উপরে আমরা প্ৰকৃতির অপরাপর বিভাগের ন্যায় সুদৃঢ় নিয়ম স্থাপন করিতে পারি না । দশ বৎসর পরে কোন দিন কোনক্ষণে সূৰ্য্যগ্ৰহণ হইবে তাহা এখন গণিয়া বলিতে পারি, কিন্তু মানবসমাজের -কাৰ্য্য কলাপ সম্বন্ধে কিছুই স্থিরতাররূপ্নে