পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবের প্রকৃতিগত পারমার্থিকতা । RN2N2) শতাব্দীর প্রথম ভাগে অনেক সংশয়ী লোক মনে করিয়াছিলেন, যে ভুত, প্ৰেত, ডাইন, শাকিনী, ডাকিনী প্রভূতিতে বিশ্বাস যেমন এককালে সকল দেশেই ছিল, এখন সভ্য দেশ হইতে চলিয়া গিয়াছে, তেমনি ঈশ্বর ও পরকাল বিষয়ক বিশ্বাসও একদিন চলিয়া যাইবে ; তখন কেবল তাহা ঐতিহাসিক আলোচনার বিষয় থাকিবে । কিন্তু বর্তমান শতাব্দী শেষ হইতে না হইতে দেখা গেল, যে এ সকল বিশ্বাস মানব-হৃদয় হইতে বিলুপ্ত হইবার কোনও চিহ্নই দেখা যাইতেছে না। বরং ইহা দৃষ্ট হইতেছে যে, যাহারা প্রাচীন ধৰ্ম্মে বিশ্বাস হারাইতেছেন, তাহারাও নৌকামগ্ন ব্যক্তিদিগের ন্যায় কি ধরি, কি ধরি বলিয়া চারিদিকে হাত বাড়াইতেছেন এবং প্রাচীন বিশ্বাসের পরিবর্তে অনেক সময় নূতন কুসংস্কারকে ধরিয়া হৃদয়কে সাস্তুনা দিতেছেন। উনবিংশ শতাব্দীর অস্তিমকালে আমরা দেখিতেছি যে, চল্লিশ পঞ্চাশ বৎসর পুর্বে যে নাস্তিকতা জগতে প্রবল ছিল, তাহ। ভাটার জলের ন্যায় তিল তিল করিয়া জগত হইতে সরিয়া যাইতেছে। ধৰ্ম্ম ভাব মানুষকে ছাড়িয়াও ছাড়িতেছে না । ইহা কখনই মানুষকে ছাড়িবে না । এক আকারে ভাঙ্গ আর এক আকারে ফুটিয়া উঠিবে। বৰ্ত্তমান সময়ে আমরা মানবের ধৰ্ম্মভাবকে নানা ধৰ্ম্মসমাজ, নানা ধৰ্ম্ম-নিয়ম, নানা সাধন-প্ৰণালীর মধ্যে দেখিতেছি । ইহার কিছুই অভ্ৰান্তরূপে সত্য নয় ; অথবা অনন্ত