পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যস্বরূপের প্রচর্চনা VO O ব্যক্তির মধ্যে একটা প্ৰভেদ আছে, তেমনি যে ব্যক্তি সত্যস্বরূপের অৰ্চনা করিতেছে এবং যে তাহ করে না, এই উভয়ের মধ্যে কি একটা প্ৰভেদ থাকিবে না ? যে ব্যক্তি স্নান করিয়া উঠিতেছে সে যেমন বলিতে পারে-আমার শরীরের ক্লেদ গিয়াছে; উত্তাপ নিবারিত হইয়াছে; ক্লান্তি দূর হইয়াছে ; চিত্ত সুপ্ৰসন্ন হইয়াছে ; তেমনি যিনি ঈশ্বরের অৰ্চনা করিয়া উঠিতেছেন। তিনি কি বলিতে পারিবেন না, আমার আত্মার মলা ধৌত হইয়াছে; পাপ তাপ গিয়াছে; প্ৰাণে শান্তি আসিয়াছে ? যদি আত্মাতে এরূপ পরিবর্তন লক্ষিত না হয়, তবে বুঝিতে হইবে সত্যস্বরূপের প্রকৃত অৰ্চনা হইতেছে না। এখানে আমরা একটি গুরুতর সত্যে উপনীত হইতেছি, তাহা এই—প্ৰকৃত ব্ৰহ্মোপাসনা মানব-জীবনে পরিবর্তন আনয়ন করিবেই করিবে । ঈশ্বর যদি জীবন্ত শক্তি হন, এবং উপাসনাসূত্রে আমরা তাহার সহিত যুক্ত হই, একথা যদি সত্য হয়, তবে তঁহার পুজা জীবনে নব শক্তি আনয়ন করিবে ইহাও আনিবাৰ্য্য। যদি কেহ কতকগুলি আদ্রর্বতণ্ডুল দেখাইয়া বলে, দেখ এই তণ্ডুলগুলি চুল্লীতে আগুনের উপরে দুই ঘণ্টা ছিল, তথাপি এইরূপই আছে ; তাহা হইলে কেহ কি সে কথাতে প্ৰত্যয় করেন ? - সকলেই বলিয়া উঠে-“এমন কথা শুনিতে চাই না, এই তণ্ডুল যদি দুই ঘণ্টা আগুনের উপরে থাকিত তাহা হইলে ভাত হইয়া নামিয়া আসিত, তণ্ডুল আর থাকিত না ।” তণ্ডুল জলের সহিত আগুনের উপরে থাকিল Ro