পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ধৰ্ম্মজীবন । কারণে পরিণত হইতেছে। এতদ্ভিন্ন অনেক দুঃখ মানব নিজে উৎপন্ন করে। এইরূপে জগতের দুঃখ ও পাপের মাত্ৰ হইতে অনেক বাদ দিলেও এমন কিছু দুঃখ অবশিষ্ট থাকে, যাহাকে দুঃখ বলিয়া গণনা না করিয়া পারা যায় না, এবং যাহা মানবের আয়ত্তাধীন নহে, মানবের ইচ্ছানিরপেক্ষ হইয়া ঘটিয়া থাকে। এ দুঃখ কোথা হইতে আসিল ? হয় বল ঈশ্বর সর্বশক্তিমান নহেন, তিনি তঁহার জগতে দুঃখকে সম্পূর্ণরূপে নিরোধ করিতে পারিতেছেন না, আর একটা কি বিরোধী শক্তি তাহাকে বাধা দিতেছে ; না হয়। বল, তিনি পূর্ণ মঙ্গলময় নহেন, জানিয়া শুনিয়া তাহার সৃষ্ট জীবকে দুঃখ দিতেছেন । জগতের বাল্যদশায় এই প্রশ্নের এক সহজ সিদ্ধান্ত মানবের মনে উদিত হইয়াছিল । তাহা এই ভূ-মানবের জীবনের উপরে দুই ঈশ্বর বিদ্যমান, এক ভাল ঈশ্বর, অপর মন্দ ঈশ্বর । ভাল ঈশ্বর সুখ বিধান করেন, আর মন্দ ঈশ্বর দুঃখ দিয়া থাকেন। অদ্যাপি অনেক বর্বর জাতির মধ্যে এই প্ৰকার বিশ্বাস দেখিতে পাওয়া যায়। তাহারা মনে করে, যে ঈশ্বর মানবের উপকারী বন্ধু, তঁহার পূজাদির প্রয়োজন নাই; কারণ তিনি ত অনিষ্ট করিবেন না ; অনিষ্টকারী ঈশ্বরেরই পূজার প্রয়োজন। এইরূপ দ্বৈতভাব সকল জাতিরই আদিম চিন্তার মধ্যে প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। এতদ্দেশীয় প্রাচীন পুরাণকারগণও অদিতি ও দিতি, দেব ও অসুর প্রভৃতি শব্দের দ্বারা এই দুই পরস্পর বিরোধী শক্তি নির্দেশ করিয়াছিলেন। দৈত্যগণ নিরন্তর মানবসমাজকে দুঃখ দিবার চেষ্টা করিতেছে, আর আদিত্য