পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসক্তি । ( গণ সেই দুঃখ নিবারণার্থ বার বার ধরাধামে অবতীর্ণ হইতেছেন । কিন্তু প্ৰাচীনকালের অগ্ন্যুপাসক পারসীক সম্প্রদায়ের মনে এই দ্বৈতভােব যেরূপ বিকাশ প্রাপ্ত হইয়াছিল, এরূপ আর কুত্ৰাপি দেখা যায় না । আহুর মাজদ ও আস্ত্ৰমনু বা আহিরমান উভয়ে শক্তি বিষয়ে প্ৰায় সমকক্ষ । আহুর মাজদ যাহা করেন, আহিরমান তাহা বিনষ্ট করিবার প্রয়াস পায়। এই সংগ্রাম নিরন্তর চলিতেছে । প্রাচীন য়িহুদীগণ অগ্ন্যুপাসক জরথুস্ত্রের শিষ্যগণের নিকট হইতে শয়তানের ভােব প্ৰাপ্ত হইয়া থাকিবেন। য়িহুদী শাস্ত্ৰ হইতে ইহা খ্ৰীষ্টীয় ও মুসলমান ধৰ্ম্মে প্রবিষ্ট হইযাছে । কিন্তু জগতের দুঃখরূপ সমস্যার পূর্বোক্ত : উত্তর বর্তমান উন্নত জ্ঞানের পক্ষে সন্তোষকরা নহে। বৰ্ত্তমান উন্নত চিন্তা এইরূপ দুইটী ঈশ্বর মানিয়া নিবৃত্ত হইতে পারে না । আমরা দেখিতেছি, দুঃখের মূল কারণস্বরূপ শয়তান মানিয়াও নিস্কৃতি নাই। পুনরায় প্রশ্ন উঠে, শয়তান ঈশ্বরের সমকক্ষ কি ঈশ্বর অপেক্ষা হীনবল ? যদি সমকক্ষ হয়, তবে ঈশ্বর মানিবার প্রয়োজন কি ? সেরূপ ঈশ্বর ঈশ্বরই নয় । যদি বল হীনবল, তবে প্রশ্ন, ঈশ্বর কেন শয়তানকে সৃষ্টি করিলেন, এবং সৃষ্টি করিয়া বিনাশের শক্তি সত্ত্বেও কেন তাহাকে সৃষ্টির মধ্যে দুঃখ ঢালিতে দিতেছেন ? জীবের দুঃখ নিবারণের জন্য কেন তাহাকে সংযত বা বিনষ্ট করিতেছেন না ? সেই পুৱাতন সমস্যা। আবার