পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসক্তি । সুখকর, ইন্দ্ৰি গণের তৃপ্তিকর, বা চিত্তোত্তেজক, তাহার মধ্যে বাস করিতে করিতে অল্পে অল্পে তাহাতে আসক্তি জন্মে অর্থাৎ চিত্ত তাহাতে লগ্ন হইয়া যায়। তৎপরে যে বস্তুতে আসক্তি জন্মে মানুষ স্বতঃই তাঁহা লাভ করিবার প্রয়াসী হয় ; এবং লাভ করিবার জন্য বিবিধ উপায় অবলম্বন করিতে থাকে। যখন মানুষ এইরূপে নিজ অভী টি কোন ও পদার্থ লাভ করিবার প্রয়াসী হয়, তখন যে ব্যক্তি তাহার পথে অন্তরায় স্বরূপ হয় বা কোন ও প্রকার বিন্ন উৎপাদন করে, তাহার প্রতি স্বাদঃই ক্ৰে’ধের উদয় হয়। চিন্তা করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে যে, জগতে যত বিবাদ বিরোধ শত্রুতা ক্ৰোধ প্রভৃতি তাহার অধিকাংশের মূলে এই কারণ. — একজন অপর জনের অভৗন্ট লাভের পথে অন্তরায় হুইয়াছে। ক্ৰে’ধের প্রকৃতি এই যে, ইহা চিত্তের স্থৈৰ্য্য নন্ট করে ; মানুষকে ধীরচিত্তে কর্তব্যপণ্য নিৰ্দ্ধারণ করিতে দেয় না ; সুতরাং ক্রুদ্ধ ব্যক্তি স্বতঃই কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়ে। এই অবস্থা মানবের কি শোচনীয় অবস্থা ! এই অবস্থাতে মানুষ । আপনার জীবনের লক্ষ্য হারাইয়া ফেলে ; সে কি উদ্দেশ্যে কি কাজ করিতেছিল, তাহা অার মনে থাকে না ; ইহাকেই গীতাকার স্মৃতিভ্ৰংশ বলিয়াছেন। এই অবস্থ তে যে উপনীত হইয়াছে তাহার দুৰ্গতির চরমাবস্থা ! সে একেবারে বিনাশের মধ্যে পতিত হয় । প্ৰত্যেকে নিজ নিজ মনে কোনও একটা আসক্তি ও পতনের দৃষ্টান্ত অবলম্বন করিয়া চিন্তা করিলে দেখিতে