পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেনাহং নামৃত, স্যাম কিমহং তেন। কুৰ্য্যাম। RY<0Q উপাসনা স্থানে গিয়া বসাটা ভাল, বেশ দেখায়। এ রীতিটা বেশ ! তাহদের ভাব এতদপেক্ষা অধিক গভীর নহে। ইহাও নিকৃষ্ট ভাব । এইরূপ চিন্তা করিলে এবং মানবমন পরীক্ষা করিলে ধৰ্ম্মসাধনের আরও অনেক প্রকার নিকৃষ্ট ভাব লক্ষ্য করা যাইতে পারে । আমাদিগকে হৃদয় পরীক্ষা করিতে হইবে, আমরা এ প্রকার কোনও লঘু ও ক্ষুদ্র ভাবে ধৰ্ম্মের সেবা করিতেছি কি না ? পূর্বেই বলা হইয়াছে অমৃতত্ব লাভের জন্যই ধৰ্ম্মের সেবা করিতে হইবে। প্রধানতঃ মুক্তি লাভের জন্যই ধৰ্ম্মের অনুসরণ করিতে হইবে। আমরা যে পরামর্থ তত্ত্বের চিন্তা করি বা ঈশ্বরারাধনা করি, তাহার উদ্দেশ্য ইহা নহে যে তদ্বারা আমরা কোনও প্রকার স্বার্থসাধনে সমর্থ হইব বা জগতের কল্যাণ করিব, কিন্তু তাহার লক্ষ্য এই যে সেই সকল তত্ত্বের ধান করিতে করিতে আমাদের চিত্ত তদুভাবাপন্ন হইয়া জীবনের নিম্ন ভূমি হইতে উঠিয়া উন্নত ভূমিতে আরোহণ করিবে, এবং ঈশ্বরের সহিত যুক্ত হইবে। ইহারই নাম বন্ধন মুক্তি বা অমৃতত্ব। অপরকে শিক্ষা দিবার জন্যই পরমার্থ তত্ত্বের প্রয়োজন। এরূপ নহে ; কিন্তু তাহার ধ্যানের দ্বারা নিজে তদুভাবাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন। একটী প্ৰাচীন দৃস্টাস্তের দ্বারা এই ভাবটী ব্যক্ত করা যাইতে পারে। আমাদের দেশের বৈদাস্তিকগণ সচরাচর জীবের ব্ৰহ্মত্ব প্ৰাপ্তির একটী উপমা দিয়া থাকেন। তঁহারা বলেন তেলাপোকাই কালে কঁাচপোকা হইয়া থাকে। সে ব্যাপারটা এই, কঁচপোকা প্ৰথমে তেলা