পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r एन्ट्रीख्छौदका । আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মধ্যে এই উভয় ভােব সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। আমরা নিৰ্জন সাধন ও সামাজিক উপাসনা উভয়কেই আমাদের সাধনপ্রণালীর অন্তৰ্গত করিয়াছি। এই সামাজিক উপাসনার প্রচলন হইতেই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম সামাজিক ধৰ্ম্ম হইয়াছে। প্ৰাচীন-ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিয়াছিলেন-“জনসমাজের দিকে পশ্চাৎ ফিরিয়া ধৰ্ম্মসাধন কর।” ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতেছেন, “জনসমাজের দিকে সম্মুখ ফিরিয়া ধৰ্ম্মসাধন কর।” ইহা সাহসের সহিত বলিতে পারা যায়, যে কালে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম এদেশীয় সামাজিক জীবনে সুমহৎ পরিবর্তন সংঘটন করিবে । যীশু নিজ প্রচারিত ধৰ্ম্মের সম্বন্ধে যে কথা বলিয়াছিলেন, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও সেই কথা বলিতে পারা যায়। যীশু। বলিয়াছিলেন-“আমার প্রচারিত স্বাগরাজ্য দম্বলের ন্যায় ।” অর্থাৎ এক কলস দুগ্ধে অল্প পরিমাণ দাম্বল দিয়া রাখিলে যেমন কলসস্থ সন্দুদায় দুগ্ধকে পরিবৰ্ত্তিত করিয়া দধিত্বে পরিণত করে, তেমনি তঁহার ধৰ্ম্ম মানব-মনে প্রবিষ্ট হইয়া মানবসমাজের রীতি নীতিকে পরিবর্তিত করিবে। ইতিবৃত্ত সাক্ষ্য দিতেছে যে নিজের ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী সম্পূর্ণরূপে সত্য হইয়াছে। মনু বা মুষার ন্যায় তিনি জনসমাজের জন্য নূতন নিয়মাবলী প্ৰণয়ন করেন নাই, কিন্তু মানব-জীবনের এক নূতন আদর্শ প্রদর্শন করিয়াছিলেন ; সেই নব আদর্শ কালক্রমে মানব-মনে প্ৰবেশ করিয়া ঘোর পরিবর্তন উপস্থিত করিল ; বহু বহু শতাব্দীর সঞ্চিত কুসংস্কারকে অপনীত করিল ; এবং বদ্ধমূল রীতি নীতিকে উন্মুলিত করিল। সেইরূপ