পাতা:ধর্ম্মজীবন (ষষ্ঠ খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানব জীবনের একতা । W5ዕጽ3 বলিয়া বিশ্বাস কর, তাহা হইলে জীবনে এক প্রকার ভাব ঘটবে, আর যদি তঁহাকে জ্ঞানক্রিয়া সম্পন্ন পুরুষরূপে জান,আর এক প্রকার ভাব ঘটবে। ইহা স্বাভাবিক। প্রাচীন হিন্দুগণ এ জগতকে ও মানবজীবনকে কারাবাসের ন্যায় মনে করেন, সুতরাং তঁহাদের সাধন যে প্ৰকার হইবে, র্যাহারা এ জগতকে করুণাময় পিতা ও স্নহময়ী মাতার গৃহ বলিয়া মনে করেন, তঁহাদের সাধন সে প্ৰকার হইতে পারে না । ইহা অামারা প্ৰতিদিন লক্ষ্য করিতেছি । এ সকল বিষয়ে যে এত বিস্তৃতরূপে আলোচনা করা যাইতেছে, তাহার উদ্দেশ্য ইহা প্ৰদৰ্শন করা যে, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম নামে যে আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম এক্ষণে প্রচারিত হইতেছে, তাহাতে কয়েকটি গুরুতর ও মৌলিক বিষয়ে পরিবর্তন ঘটাইয়াছে, এবং সেই পরিবাৰ্ত্তনের মধ্যেই সৰ্ব্ববিধ পরিবর্তনের বীজ নিহিত রহিয়াছে। প্রাচীন সাকারবাদের শিক্ষা এই ছিল, উপান্ত দেবতা বাহিরে। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম শিক্ষা দিয়াছেন, উপাস্ত্য দেবতা অন্তরে । প্ৰাচীন ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিয়াছিলেন, মানবের সাধনক্ষেত্ৰ জনসমাজ হইতে দুরে, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতেছেন, মানবের সাধনক্ষেত্ৰ জনসমাজে । প্ৰাচীন ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিয়াছিলেন, নিয়ম বিধি ও বাহিরের ক্ৰিয়াই প্ৰকৃষ্ট সাধন প্ৰণালী ; ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতেছেন, “প্রতিঃ পরম সাধনং” প্রেমই প্ৰকৃষ্ট সাধন। এই তিনটী মহাসত্য মানব হৃদয়ে প্রবিষ্ট হওয়াতে লোকের আদশ ও আকাজক্ষা পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যাইতেছে। ঈশ্বর অন্তরে অর্থাৎ মানবের ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে প্ৰতিষ্ঠিত, একথা বলিলেই স্বাভাবিকরূপে এই কথা আসিয়া পড়ে যে, চিত্ত্বশুদ্ধিতে তাহার অন্বেষণ করিতে হইবে। সাধনক্ষেত্ৰ জনসমাজে। এ কথা বলিলে স্বভাবতঃ এই কথা আসিয়া পড়ে, গাৰ্হস্থ্য ও সামাজিক ভাব সকলকে ধৰ্ম্মের প্রতিকুল বলিয়া বিনষ্ট করিতে হইবে না, কিন্তু ধৰ্ম্মের সহায় জানিয়া পোষণ করিতে হইবে, এবং মানবসমাজের সর্ববিধ উন্নতিকে ধৰ্ম্মের সাধন-ক্ষেত্রের মধ্যে আনিতে হইবে । প্রতিই ধৰ্ম্মের সাধন বলিলে এই কথা স্বভাবতঃ আসিয়া পড়ে যে, জগৎ ও মানবকে প্রেমের আলিঙ্গনের মধ্যে আনিতে হইবে। দেখ জীবনের আদর্শ DD DBDDD DB BDB BEK DBB SS ঈশ্বর অন্তরে, মানবের সাধনক্ষেত্ৰ জনসমাজ ও প্রীতিই প্ৰকৃষ্ট সাধন, এই তিনটী সত্য যদি আমরা ভাল করিয়া হৃদয়ে ধারণ করিতে পারি, তবে ইহার