পাতা:ধর্ম্মজীবন (ষষ্ঠ খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই েদবী, ডাহা অপরের দোষকে ঠিন হন্ধে ধরে এবং আপনাদের গরের ধাপরাধ ও আর দেখি না .… আহ্মপরীক্ষার অভ্যাস’ তে সাধুদের ব্যবহার ইহার বিপরীত দেখি;—“তাহারা নিজের প্রতি নিৰ্দয় ও গঞ্জের প্রতি সদয় হইয়া থাকেন । নিজের অপরাধ স্মরণ করিয়া সেণ্টপলে স্নায় বলেন- “হায় ৱে হতভাগ্য আমি, আমাকে এই মৃত্যুময় পাপ বিকার হইতে কে মুক্ত করিব।” কিন্তু পরোয় প্ৰতি ঘীর, স্নায় সদয় হইয়া বলেন—“ৰাও জার' পাপ করিও না ।” স্বাত্ম-পরীক্ষা ব্যতীত অভিসন্ধির বিশুদ্ধতা রক্ষা করা যায় না, সুতরাং আত্মা পরীক্ষা এটা প্ৰধান সাধন । আত্মপরীক্ষার পরেই প্ৰাৰ্থনাশীলতা। আমরা যাহাঁতে ঈশ্বর হইতে দূরে গিয়া না পড়ি, সে বিষয়ে আমাদিগকে সৰ্ব্বদা সতৰ্ক থাকিতে হয় । আপন আপন জীবনপরীক্ষা করিলেই দেখিতে পাই, ঈশ্বর হইতে দুরে গিয়া পড়া জামাদের পক্ষে কত সহজ । কয়েক দিন নিজের অধ্যাত্মিক অবস্থার প্রতি ’ অমনোযোগী থাকিলেই দেখিতে পাই, যেন তাহা হইতে দুরে গিয়া পড়িতেছি । বাহিরে উপাসনাদি চলিতেছে, ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান সকলও চলিতেছে, মুখে ধৰ্ম্ম প্রচার ও একপ্ৰকারী রিয়া, ধাইতেছি, কিন্তু মন অল্পে অল্পে তাহা হইতে নিৰ্ভরটা তুলিয়া লইয়া অপর কিছু ঐতি ফেলিতেছে ; তাহার প্রতি প্ৰেম জাগ্ৰত শক্তি স্নায় হৃদয়ে আর কাৰ্য্য করিতেছে না ; জীবনের সুখ দুঃখের মধ্যে তার সুমিষ্টান্নিধ্য আীয় মনে জাগিতেছো :- ইহঁ। ঠিক যেন বালক দিগে সেই খেলা স্নায় ; বুধ অশ্লীর মাৱে ভাঙ্গুলটা ধর, বলিয়া অঙ্গুলি নাড়িতেছে, যে ধরিল সে ভাবিল প্ৰকৃ লিটাই ধরিয়াছে, পরে দেখে আর একটা আঙ্গুল ধরিয়াছে।" এই আঁৰ হইতে প্ৰবুদ্ধ হলে আমাদের দশ যেন সেই প্ৰকার হয় । খননে ভাৰতো ঈশ্বরকে ধরিয়া আছি, তখন ভাধিষ্ঠা দেখি, তাহাকে ছাড়িয়া আঁর ক রিয়াছি । ঈশ্বরকে ছাড়ার আর এক অৰ্থ আছে । তাঁহার যে ধৰ্ম্মনিয়মের দ্বারা জীবন ও মান-সমাজশাসিত হইতেছে, তাহাঙ্গ সহিত যদি হৃদয়ে যোগ