পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । } প্রমাণ দেওয়া ধাইতে পারে না, অথচ আমরা তাহাতে না বিশ্বাস করিয়া কখনই থাকিতে পারি না । সকাম পরোপকার অপেক্ষ নিষ্কাম পরোপকার মহৎ, এই বিশ্বাস আত্মপ্রত্যয়। এই বিশ্বাসের কোন যৌক্তিক প্রমাণ দেওয়া যাইতে পারে না, অথচ আমরা তাহাতে না বিশ্বাস করিয়া কখনই থাকিতে পারি না । যৌক্তিক প্রমাণের অনাবশ্যকতা অর্থাৎ স্বতঃসিদ্ধতা, . এবং বিশ্বাস না করিয়া থাকা যায় না অর্থাৎ অবশ্য-বিশ্বসনীয়ত, আত্মপ্রত্যয়ের এই দুই লক্ষণ ব্যতীত অন্যান্য লক্ষণ আছে । * আত্মপ্রত্যয় সকল দেশের সকল কালের লোকের মনে বিদ্যমান আছে। এমন দেশ নাই, এমন কাল নাই, ষে দেশের অথবা যে কালের লোকের মনে আত্মপ্রত্যয় বিদ্যমান ছিল না অথবা নাই। কিন্তু যে উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ আত্মপ্রত্যয়ের সঞ্চার হয় সে উপলক্ষ কোন ব্যক্তির সম্বন্ধে না ঘটিলে সে আত্মপ্রত্যয় তাহার মনে সঞ্চারিত হয় না । সুৰ্য্য সকলেরই দর্শনীয় পদার্থ, অতএব সুৰ্য্যের অস্তিত্বে বিশ্বাস সকল মনুষ্যেরই আছে। কিন্তু যে বস্তুটি কেবল পৃথিবীর এক দেশে আছে, তাছার দর্শন সকলমনুষ্যের সম্বন্ধে ঘটে না, অতএব সে বিষয়ে আত্মপ্রত্যয় সকল মনুষ্যের মনে বিদ্যমান নাই । আত্মপ্রত্যয় মূল প্রত্যয় । সহজ-জ্ঞান দ্বারা আমরা ষে জ্ঞান লাভ করি তাহ অন্য কোন প্রকারে লভনীয় নহে, তাহাই আমাদিগের সকল জ্ঞানের পত্তন ভূমি। বৃক্ষের