পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/১৬১

Nడి ধৰ্ম্মতত্ত্ব-ব্যাখ্যান । জানিয় তাহার প্রতি ক্লতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে তাহার চিত্ত ব্যগ্র হয় কি না ? যদ্যপি এ প্রকার ব্যাকুল না হয় তবে তাহাকে কি মনুষ্য বল যাইতে পারে ? তেমনি ষে ব্যক্তি বৃহৎ সুশোভন নিকেতন এই জগতে জন্ম গ্রহণ করিয়া পিতা মাতার অরুত্রিম প্রীতিতে পালিত হইয়া, অগ্নিরূপ পাচক, বায়ুরূপ ব্যজন-সঞ্চালক ও সুর্য্যরূপ আলোক-কর ইত্যাদি ভূত্যদিগের নিয়ত পরিচর্য্যা প্রাপ্ত হইয়া, যিনি এই অনুপম নিকেতনের নির্মাতা হয়েন, যিনি আমাদের রক্ষার একমাত্র উপায় স্বরূপ পিতা মাতার মনে স্নেহ প্রেরণ করেন ও যিনি অগ্নি, বায়ু, সুৰ্য,চন্দ্র-রূপ ভূত্যদিগকে আমাদিগের সেবায় নিযুক্ত করিয়াছেন তাহার অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত ও র্তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ ন হইল তাহাকে কি মনুষ্য বলা যাইতে পারে? অরুতজ্ঞ পুত্র যেমন গৃহের এক কোণে অবস্থিত বৃদ্ধ পিতার প্রতি অনাদর করে, কিম্বা দূরদেশস্থিত পিত কর্তৃক কোন পুত্র জন্মাবধি অৰিহমান কাল প্রতিপালিত হইয়াও যৌবনাবস্থায় উছার প্রতি যেমন স্বেছ প্রকাশ করে না, কিম্বা যেমন এক ভূমিখণ্ডপ্রদাতা স্থত রাজার প্রতি পুরুষানুক্রমে সেই রাজবৃত্তি-ভোগী ব্যক্তিদিগের ক্লতজ্ঞ ভাব থাকে না, সেইরূপ আমরা পৃথিবীতে ঈশ্বরকে ৰিস্কৃত হইয়া থাকি ও র্তাহার প্রতি কতজ্ঞ হই না। তাহার প্রতি আমরা এপ্রকার ব্যবহার করিয়া থাকি বটে, কিন্তু তাছা কি উচিত ? আমাদের যদি পদে পদে সকল বিষয় চাচ্ছিন্ন৷ লইতে হইত তবে ঈশ্বরের নিকট আমরা অতি কৃতজ্ঞ হইতাম; কিন্তু যখন তিনি প্রার্থনার পূর্বেই আমাদিগের