পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 ধৰ্ম্মতত্ত্ব-ব্যাখ্যাম । - বৃদ্ধ কালের জন্য অপেক্ষ না করিয়া এখন অবধিই কুপ্রবৃত্তি দমনে ও কর্তব্য সাধনে প্রবৃত্ত হই। মৃত্যুর সময় যখন সকল বস্তু পরিত্যাগ করিয়া আমাদিগকে যাইতে হইবে তখন কেবল ধৰ্ম্মই আমাদিগের একমাত্র বন্ধু হইয়া আমাদিগের সাহায্য করিবে। যখন নৈসর্গিক নিয়মানুসারে এই সমস্ত বস্তু পরিত্যাগ করিয়া আত্মা এক নুতন অপরিচিত দেশে প্রবেশ করিতে প্রবৃত্ত হইবে তখন ধৰ্ম্ম ব্যতীত আর কে তাহাকে সেই সঙ্কট সময়ে বল প্রদান করিতে পারে ? ধৰ্ম্ম ব্যতীত আর ক্ষে তাহার প্রতি তখন সান্ত না-সলিল সেচন করিতে সক্ষম হয় ? ঈশ্বরের নিয়ম-মধ্যে এই এক নিয়ম যে যখন মনের ক্ষীণত প্রযুক্ত ধৰ্ম্ম পালন কর। সুকঠিন বোধ হয় তখন ধৰ্ম্মৰলের জন্য কায়মনোবাক্যে র্তাহার নিকট প্রার্থনা করিলে তিনি তাহা প্রদান করেন। গৃহের দ্বার উদ্‌ঘাটন করিলেই যেমন সুৰ্য্যের জ্যোতিঃ অনায়াসে তাহতে প্রবেশ কৰুে তেমনি প্রার্থন দ্বারা মনের দ্বার উদঘাটন করিলেই ঈশ্বরের বল অপেন হইতেই তাঁহাতে প্রবেশ করিয়৷ সাধককে বলীয়াৰ করে। যখন আমরা পাপতাপে মুহ্যমান হই, তখন ঈশ্বর ব্যতীত কে আমাদিগের অবনত, আত্মাকে উথাপিত করিতে পারেম ? পুণ্যরূপ নিৰ্ম্মল হ্রদে সর্বদা অবগাহন পূর্বক পৰিত্র ও স্বচ্ছ থাকিলে ঈশ্বর সাধক-সমীপে আত্ম-স্বরূপ প্রকাশ করেন ও উহার প্রতি প্রসন্নবদনে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, আর পাপপঙ্কে পরিলিপ্ত হইলে তিনি সাধক-সমীপে আত্ম