পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>急 ধৰ্ম্মতত্ত্ব-বিৰেক । দেখিয়া আমরা স্থির করি ষে তাহার কারণ কোন ঘটিকাকরে আছে ও তাহার জ্ঞান আছে। কার্য্য-কারণ-সম্বন্ধ বিবেচনা মা করিয়া কেবল বস্তুর সাদৃশ্য বিবেচনা পূর্বক কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার নাম সাদৃশ্য-মুলক যুক্তি । কাক-শরীরের সহিত ক্লষ্ণবর্ণের কার্ষ্য-কারণ-সম্বন্ধ আছে কি না, ইহা বিবেচনা না করিয়া কেবল এক কাকের সহিত জন্য কাকের সকল বিষয়ে সাদৃশ্য থাকিবে, ইহা বিবেচনা করিয়া, সকল কাকই কৃষ্ণ বর্ণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সাদৃশ্যমূলক যুক্তির এক দৃষ্টান্ত । * , প্রত্যেক প্রত্যয় হয় আত্মপ্রত্যয়, নতুবা, যুক্তিমূলক প্রত্যয়, অন্য প্রকার হইতে পারে না । যে বিশ্বাসকে কল্পনামূলক বলিয়া আপাততঃ জ্ঞান হয় তাহী ক্ষীণ যুক্তি-মূলক। আকাশ প্রস্তরময় ইহা কল্পনামূলক বিশ্বাস বলিয়। আপাততঃ বোধ হয়। কিন্তু উহা ক্ষীণ-যুক্তিমূলক বিশ্বাস । মে ক্ষীণ যুক্তি এই—কোন বিশেষ প্রস্তরের বর্ণ আকাশের বর্ণের ন্যায় অতএব অণকাশ সেই প্রস্তররচিত পদার্থ। মেঘ জীবিত পদার্থ এই বিশ্বাসকে আপততঃ কম্পনামূলক বলিয়া বোধ হয়,কিন্তু তাহা ক্ষীণ যুক্তিমুলক। সে ক্ষীণ যুক্তি এই—যাহা গতিবিশিষ্ট তাহাই জীবিত পদার্থ মেষ গতিবিশিষ্ট পদার্থ অতএব তাহা জীবিত পদার্থ ! কোন কোন বিশ্বাসকে আপাততঃ মানসবিকার-স্থূলক বলিয়া ৰোধ হয় বটে, কিন্তু বস্তুতঃ তাহা • অষ্টেলিয়া দেশে শ্বেত কণক দৃষ্ট হইয়াছে ।