পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিক । > う ক্ষীণ-যুক্তি-মূলক বিশ্বাস। কোন মনুষ্য ভূত দেখিয়াছে এমন বিশ্বাস করে, তাহার সেই বিশ্বাস আপাততঃ মানসবিকার-মুলক অর্থাৎ ভয়-মূলক বিশ্বাস বলিয়া ৰোধ হইতে পারে, কিন্তু বস্তুতঃ তাহী ক্ষীণ-যুক্তি-মুলক বিশ্বাস। সে ব্যক্তি আলোক ও ছায়ার মিশ্র কার্ষ্য জনিত মনুষ্যাকারবৎ কোন আকার দেখিয়া থাকিবে তাহাতেই তাহার ঐ বিশ্বাস জন্মিয়াছে । ষে ক্ষীণ যুক্তি অবলম্বন করিয়া সে ঐ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছে তাহা এই—মনুষ্যাকারবৎ আকার অবশ্য মনুষ্যেরই হইবে, কিন্তু যেখানে সে আকার দৃষ্ট হইয়াছে তথায় কোন জীবিত মনুষ্যের থাকা সম্ভব নয়, অতএব সেই আকার অবশ্যই কোন স্থত ব্যক্তির আকার হইবে । আমূল অনুসন্ধান করিলে শব্দ-প্রমাণ মূলক বিশ্বাসও হয় যুক্তি-মূলক, নতুবা আত্মপ্রত্যয় হইয়া দাড়ায় । যাহাদিগের কথাতে আমরা নির্ভর করিয়া কোন বিষয়ে বিশ্বাস করি সে বিষয়, হয় তাহারা নিজে সহজ জ্ঞান দ্বারা জানিতে পারিয়া ছিলেন অথবা যুক্তি দ্বারা স্থির করিয়া ছিলেন। যদি - তাহারা নিজে সহজ জ্ঞান দ্বারা তাহা জানিতে পারিয়াছিলেন এমন হয়, তবে ঐ বিশ্বাস আত্মপ্রত্যয়মূলক বিশ্বাস বলিতে হইবে। যদি নিজে যুক্তিদ্বারা অবগত হইয়া থাকেন তবে তাহাকে যুক্তিমূলক বিশ্বাস বলিতে হইবে। সুর্য্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এই ৰিশ্বাস শব্দ-প্রমাণ-মুলক অর্থাৎ পূৰ্ব্বকালের মহাজনেরা তাহ বলিয়া গিয়াছেন, এজন্য অনেকে তাহাতে বিশ্বাস করে । কিন্তু তাহাদিগের ঐ বিশ্বাসের মুল ভঁহা