পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/২৬

উপক্রমণিকুী। {t খিত সামান্য নিয়ম সকল দ্বারা নিয়মিত হয়। মনুষ্যের প্রাধান্য অনেক পরিমাণে ইহার প্রতি নির্ভর করে ধে সে ঐ সকল নিয়মানুসারে অন্ধরূপে কাৰ্য্য করে না । বিশ্বাস কাৰ্য্য কি কি বিশেষ নিয়ম দ্বারা নিয়মিত করিলে সত্যে উপনীত হইতে পারা যায় তাহ সে স্থির করিতে পারে। সে স্থির করিতে পারে যে, সকল সময়ে আত্মপ্রত্যয়ের প্রতি নির্ভর করা যাইতে পারে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ উক্ত হইতেছে যে, কোন কোন বিশেষ পীড়ার সময় ইন্দ্রিয় সংঘটিত আত্মপ্রত্যয়ের প্রতি নির্ভর করা যাইতে পারে না এবং বাল্য-সংস্কার ন্যায় অন্যায়বিষয়ক আত্মপ্রত্যয়কে fৰকৃত করিয়া ফেলে। মনুষ্য স্থির করিতে পারে যে কোন কোন স্থলে কতকগুলি দৃষ্টান্ত দেখিয়া সাধারণ তত্ত্বে উপনীত হওয়া ও তাঁহাতে বিশ্বাস করা যাইতে পারে না। দীর্ঘ নালিকা যুক্ত ব্যক্তি দুষ্টপ্রকৃতি ইহার দুই চারি দৃষ্টান্ত সত্য হইতে পারে, কিন্তু হয় ত পঞ্চম দৃষ্টান্তের বেলা তাহা সত্য না হইলেও হইতে পারে। অনেক কাক ক্লষ্ণবর্ণ ইহা দেখিয়া কখনই স্থির করা যাইতে পারে না যে সকল কাকই কৃষ্ণবর্ণ। বিশ্বাস কাৰ্য্যকে আবার আর কতকগুলি বিশেষ নিয়ম দ্বারা নিয়মিত করিলে সত্যে উত্তীর্ণ হওয়া যাইতে পারে, তাহা মনুষ্য এইরূপে স্থির করিতে পারে । মনোবৃত্তিতে আমাদের বিশ্বাস করিতেই হইবে, এই প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা আমাদিগের সকল বিশ্বাস নিয়মিত । হয় । মনোবৃত্তিতে বিশ্বাস আমাদিগের সকল বিশ্বাসের