পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐधं श्रः चक्षrंन ! 窓y জানা গিয়াছে, তাছাদের ঐ বিশ্বাস আছে। যেমন উষ্ণ মগুলের কোন বৃক্ষ বা শত শীত স্বগুলে রোপণ করিলে তাহাক এমনি পরিবৰ্ত্তিত ও বিকৃতাকার হইয়া যায় যে তাহাকে সেই বৃক্ষ অথবা লতা বলিয়া ডাকা যাইতে পারে না ; সেইরূপ যদ্যপি এমন কোন জাতি পাওয়া যায়, যাহাদিগের ধর্শ্বভাৰ কিছুমাত্র নাই, তাহাদিগকে মনুষ্য বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে না। কেহ কেহ এই কথা বলেন ষে, যখন কোন কোন ব্যক্তিকে অর্থাৎ নাস্তিকদিগকে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করিতে দৃষ্ট হয়, তখন ঈশ্বর-তত্ত্বপ্রত্যয় সৰ্ব্বহৃদয়াধিষ্ঠায়ী, ইহা কি প্রকারে বলা যাইতে পারে ? তাহার উত্তর এই—যেমন সকল নিয়মের ব্যভিচার স্থল আছে তেমনি ঈশ্বর-তত্ত্ব-প্রত্যয় সম্বন্ধীয় নিয়মেরও ব্যভিচার স্থল আছে।. যেমন এক হস্ত বিশিষ্ট শিশু জন্মিতে দেখা দ্বারা কখনই প্রমাণ হয় না যে মনুষ্য স্বভাবতঃ চুই হস্ত বিশিষ্ট নহে, তেমনি দুই একটি নাস্তিক থাকতে কখনই প্রমাণ হয় না ষে মনুষ্যের স্বভাবতঃ ধৰ্ম্মভাব নাই। মনুষ্য যেমন বস্তুর অলৌকিক নির্ভর স্থলে বিশ্বাস করে তেমনি তাহাকে সকল বস্তুর নির্ভর স্থল বলিয়া বিশ্বাস করে। এক ঈশ্বরবাদীরা বিশ্বাস করে যে সকল পদার্থই এক ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর করে । বহুদেবোপাসকেরা বিশ্বাস করে ষে সকল জ্ঞাত বস্তুরই দেবতা আছে। যখন তাহারা কোন স্বতন বস্তু অথবা ঘটনা দেখে তখন তাহারা তাহার অধিষ্ঠাত্রী স্বতন দেবতার কম্পনা করে। সকল মনুষ্যই বিশ্বাস করে ষে অলৌকিক পদার্থের প্রতি সকল বস্তু সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর