পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রধক্ষষ্ঠমধ্যায়ী । もう পূর্ণস্বরূপ ও অন্য সকল দেবতা তাছার নিতান্ত জীন এই রূপ বিশ্বাস করে। কোন কোন জাতি অধিক হস্ত'ভ', অধিক মন্তক থাকাকে পূর্ণতার লক্ষণ বলিয়া জ্ঞান করে। কোন কোন জাতি নিরাকারত্বকে পূর্ণতার লক্ষণ বলিয়া জ্ঞান করে। কোন কোন জাতি একটা পৰ্ব্বত অথবা বনের প্রতি নিয়ন্থখকে পূর্ণতার লক্ষণ বলিয়া জ্ঞান করে। তাহ{দের হৃদয়ে পূর্ণতার উচ্চতর ভাব নাই। তাহদের মন যেমন ক্ষুদ্র, জ্ঞান যেমন সংকীর্ণ, পূর্ণতার ভাবও তাছাদিগের তদ্রুপ - “কোন কোন জাতি সমস্ত জগতের উপর নিয়স্তৃত্বকে পূর্ণতার লক্ষণ বলিয়া জ্ঞান করে। পূর্ণতার ভাব ভিন্ন ভিন্ন হউক, কিন্তু সকল জাতি এক পূর্ণস্বরূপ পদার্থকে বিশ্বাস করে ইহার সন্দেহ নাই। অতএব স্থিরীরুত হইতেছে যে সকল বস্তুর সম্পূর্ণ ও নিত্য নির্ভর স্থল কোন পদার্থ আছে, এই বিশ্বাস সকল মনুষ্যেরই আছে । - স্বতঃসিদ্ধতা, আদিমত্ব, অবশ্যবিশ্বসনীয়তা ও সর্বহৃদয়াধিষ্ঠায়িত্ব এই সকল লক্ষণ থাকাতে সকল বস্তুর সম্পূর্ণ নির্ভর স্থল এক পূর্ণ পদার্থ আছে এই বিশ্বাসকে আত্মপ্রত্যয় বলাযায়। তাহা বুদ্ধিসংঘটিত আত্মপ্রত্যয় ও বিশেষ আত্মপ্রত্যয়; সাধারণ আত্মপ্রত্যয় নহে । ঈশ্বরতত্ত্বপ্রত্যয় যখন আত্মপ্রত্যয় তখন তাহাতে আমীদিগকে বিশ্বাস করিতেই হইবে । সকল প্রকার বিজ্ঞান-শাস্ত্র আত্মপ্রত্যয়-মুলক আত্মপ্রত্যয়ে যদি আমরা বিশ্বাস না করি তবে কোন প্রকার বিজ্ঞানশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় না। সকল বস্তুর সম্পূর্ণ নির্ভর স্থল কোন পূর্ণ পুরুষের ।