পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৩৫

९s "ণবধের্ক । অস্তিত্ব নিরূপিত হইল। এক্ষণে সম্পূর্ণ নির্ভর ও পূর্ণভা কাণকে বলে তাৰস্থিৰীক্ষত হইতেছে । সম্পূর্ণ নির্ভর ও পূর্ণতা কি, তাহ সহজ জ্ঞান এবং যুক্তির সংযুক্ত কাৰ্য্যদ্বারা আমরা জানিতে সক্ষম হই । ” আমরা জাত্মপ্রত্যয় দ্বারা জানিতেছি যে, উৎপত্তি, বর্তমান অস্তিত্ব, ও শক্তির জন্য নির্ভরকে সম্পূর্ণ নির্ভর বলে। আমরা যুক্তি দ্বারা জানিতেছি ষে, যখন ঈশ্বর সকল পদার্থের সম্পূর্ণ নির্ভর স্থল, তখন তিনি সকল বস্তুর উৎপত্তি বর্তমান অস্তিত্ব ও শক্তির নির্ভর স্থল । ঈশ্বর ও জগৎ এ উভয়েই নিত্যকাল বর্তমান রহিয়াছে, আমরা এরূপ কখনই স্বীকার করিতে পারি না ; ষে হেতু আমাদের আত্মপ্রত্যয় এই যে ঈশ্বর অন্য সকল বস্তুর সম্পূর্ণ নির্ভর স্থল। জগৎ, নিত্য পরমাণু দ্বারা ঈশ্বর-কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, ইহা মানিতে হইলে জগৎ ঈশ্বরের সম্পূর্ণরূপে অধীন, ইহা মানা হয় না, কিন্তু আমাদিগের আত্মপ্রত্যয় বলিয়া দিতেছে যে, জগৎ ঈশ্বরের সম্পূর্ণ রূপে অধীন। অতএব প্রমাণ হইতেছে যে, জগৎ ঈশ্বরের দ্বারা এক সময় স্থষ্ট হইয়াছিল। ভূতত্ত্ববেত্তারা পৃথিবী ও জ্যোতিৰ্ব্বেত্তারা ভু্যলোক সম্বন্ধীয় যে সকল বিশাল পরিবর্তনের কথা বলেন, জগৎ এক সময় সৃষ্ট না হইয়া কেবল সেই সকল পরিবর্তনের প্রবাহ যে নিত্যকাল তাহাতে প্রবাহিত হইয়া আসিতেছে এমত নহে। জগৎ এক সময় স্থষ্ট হইয়াছিল, স্মৃষ্টির পর ঐ সকল পরিবর্তন তাছাতে ঘটিয়াছে। । ৯. আত্মপ্রত্যয় জামাদিগকে বলিয়া দেয় যে, শরীর নিরুষ্ট