পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** ধৰ্ম্মঞ্জৰ’ৰিৰেক । আমাদিগের সম্পূর্ণ নির্ভরস্থল কোন পূর্ণ পুরুষ আছেন, কেবল এই বুদ্ধিসংঘটিত আত্মপ্রত্যয়ের প্রতি নির্তর করিলে ঈশ্বর কেবল অগম, অগোচর, নিরঞ্জন, অস্তুত কারণ বলিয়া উপলব্ধ হয়েন. উল্লিখিত আত্মপ্রত্যয় জামাদিগকে কেবল এইমাত্র জানাইয়া দেয় ষে, ঈশ্বর নিরতিশয় মহৎ । কিন্তু মিরতিশয় মহত্ত্বে কোন প্রকার বিদিত বা বচনীয় লক্ষণ না থাকিলেও না থাকিতে পারে। কিন্তু আমাদিগের আত্মপ্রত্যয় আমাদিগকে বলিয়া দেয় যে, জ্ঞান, শক্তি, করুণ, আনন্দ প্রভৃতি কতকগুলি বিদিত গুণ মহত্ত্বের উপাদানভূত } যাহার জ্ঞান নাই, শক্তি নাই, করুণা নাই, আনন্দ নাই, তাহাকে আমরা কখনই মহৎ বলিয়া বিশ্বাস করিতে পারি না। যে মুল হইতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও অনিৰ্ব্বচনীয়ত্ব আমরা জানিতে পারিতেছি সেই মূল হইতে আমরা জানিতেছি যে তিনি কিয়ৎ পরিমাণে বিদিতব্য ও বচনীয় । আত্মপ্রত্যয় হইতে যেমন প্রথমোক্ত সত্য লাভ করিতেছি তেমনি আবার শেষোক্ত সত্য লাভ করিতেছি । এক বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়কে বিশ্বাস করা ও অন্য বিষয়ে তাহীত্তে বিশ্বাস না করা অনুচিত।” যদি ঈশ্বরের অস্তিত্বে ও অনিৰ্ব্বচনীয়ত্ত্বে বিশ্বাস করিতে হয় তবে তিনি কিয়ৎ পরিমাণে বচনীয় ইহাও বিশ্বাস করিতে হইবে । -- oসকল পদার্থের সম্পূর্ণ নির্ভরস্থল কোন পূর্ণ পদার্থ আছে এই প্রত্যয় প্রায় সকল মনুষ্যের হৃদয়ে বিরাজিত আছে, কিন্তু ঈশ্বরের প্রকৃতি-নির্ণায়ক সত্যপ্রত্যয় সকল মনুষ্যের হৃদয়ে বিরাজমান নাই। তাহার কারণ এই যে,