পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৪০

६..........'छुrtख्न ! 袋翁° নিজের অপূর্ণতা বোম্বরূপ উপলক্ষ সকলেরই সম্বন্ধে ঘটে, ঐ উপলক্ষের ঘটনা হইলেই আমাদিগের মনে আমাঙ্গের সম্পূর্ণ নির্ভরস্থল পূর্ণ পদার্থে বিশ্বাস সঞ্চারিত হয়; আর ঈশ্বরের প্রকৃতিসম্বন্ধীয় বিবেচনা ও যুক্তিরূপ উপলক্ষ সকলের সম্বন্ধে ঘটে না, এই জন্য ঈশ্বরের প্রকৃতি সম্বন্ধীয় সত্যপ্রত্যয় সকলের হৃদয়ে বিদ্যমান নাই । বিশেষতঃ কেবল বুদ্ধি-সংঘটিত আত্মপ্রত্যয়, বিবেক-সংঘটিত আত্মপ্রত্যয় ও ভাবমূলক যুক্তির সংযুক্ত কাৰ্য্য দ্বারা যে প্রকৃত ঈশ্বরজ্ঞান উদয় হয় তাহাও নহে। কাৰ্য্যমূলক যুক্তির সহকারিতাও না পাইলে ঐ জ্ঞানের উদয় হয় না । ঈশ্বর-জ্ঞান কাৰ্য্যমুলক যুক্তির অতীত কিন্তু তৎসহকারে তাহ মানবমনে উদিত হয়। ঈশ্বর-জ্ঞান কাৰ্য্যমূলক যুক্তির অতীত, তাহা এই গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ও তাহা তৎসহকারে মানবমনে উদিত হয়, তাহা ইহার তৃতীয় অধ্যায়ে প্রদর্শিত হইবে । ঈশ্বরকে আমরা যত দূর জানি না কেন তথাপি তিনি আমাদের বাক্য মনের অগোচর অগম অনিৰ্দেশ্য পদার্থ থাকেন। যখন তিনি আত্মা হইতে ভিন্ন তখন র্ত্যহাতে কতকগুলি লক্ষণ আছে যাহা আমাদের আত্মাতে নাই । র্তাহার স্বরূপের যে অংশ আত্মা কুইতে ভিন্ন তাহা অামাদের সম্বন্ধে নিবিড় অন্ধকারে আবৃত। তাহা সুৰ্য্যও প্রকাশ করিতে পারে না, চন্দ্র তারকও প্রকাশ করিতে পারে না, এই বিদ্যুৎ সকলও প্রকাশ করিতে পারে না, অগ্নি কি প্রকারে প্রকাশ করিৰে ? ঈশ্বরের স্বরূপ রূপ গাঢতিমিরাচ্ছন্ন অতলস্পর্শ সমুদ্র কেবল ঈশ্বরেরই দ্বারা পরিমেয়।