পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । ©ዓ ও ভাবমূলক যুক্তি দ্বারা এই জ্ঞানের উদয় হয় যে, ঈশ্বর কেবল সেই সকল পদার্থ সম্বন্ধে নিৰ্ব্বিকার নহেন, তিনি সম্পূর্ণরূপে নিৰ্ব্বিকার। জগৎ দেখিয়া কাৰ্য্যমূলক যুক্তি দ্বারা আমরা কখনই স্থির করিতে পারি না যে, ঈশ্বর সম্পূর্ণ রূপে নিৰ্ব্বিকার, যেহেতু জগতের আমরা সকল দেশ দেখিতেছি মা - - -- অসভ্য ও অজ্ঞানীন্ধ অবস্থায় যখন মনুষ্যের কৰ্ত্তব্যকৰ্ত্তব্য জ্ঞান অনুন্নত থাকে তখন মনুষ্য ঈশ্বরের প্রকৃতির উপর মানবীয় দোষ আরোপ করে কিন্তু যখন তাহাদের কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য জ্ঞান উন্নত হয় এবং পাপ করিলে মনে আত্মগ্লানি জন্মে ও পুণ্য করিলে আত্মপ্রসাদের উদয় হয়, তখন, যিনি এৰূপ আত্মগ্লানি ও আত্মপ্রসাদের স্মৃষ্টি করিয়াছেন তিনি অবশ্য পাপের প্রতি অপ্রসন্ন ও পুণ্যের প্রতি প্রসন্ন হইবেন, এই কাৰ্য্যমূলক যুক্তি সহকারে আত্মপ্রত্যয় ও ভাবমূলক যুক্তি দ্বারা এই পরমতত্ত্বের উদয় হয় যে, ঈশ্বর সম্পূর্ণ রূপে পুণ্যের প্রতি প্ৰসন্ন ও পাপের প্রতি অপ্রসন্ন এবং সম্পূর্ণ রূপে পবিত্র স্বরূপ। ঈশ্বর সম্পূর্ণ রূপে পৰিত্রস্বরূপ ইহা কাৰ্যমুলক যুক্তি দ্বারা সম্পূর্ণ ৰূপে প্রমাণ হয় না এবং তাহা বিবেক-সংঘটিত আত্মপ্রত্যয় ও ভাবমূলক যুক্তি দ্বারা মানব-মনে উদিত হয় তাহ পূর্বেই প্রদর্শিত হইয়াছে। ঈশ্বরের প্রকৃতি নিৰ্দ্ধারণ কৰ্য্যে কাৰ্য্যমূলক যুক্তি অত্যন্ত অবশ্যক তাছা উপরে প্রদর্শিত হইল। কল্পনা ঈশ্বরের প্রকৃতি সম্বন্ধীয় জ্ঞানকে ক্ষরিত হইতে দেয় না, কাৰ্য্যমূলক মুক্তি তাহার স্ফারণের সম্বন্ধে অত্যন্ত সহায়তা করে। এমন