পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ধৰ্ম্মতত্ত্ব-ৰিবেক । কি উল্লিখিত যুক্তির যদি কোন হেতু না থাকিত, আর সুতরাং সে যুক্তি যদি উদ্ভাবিত না হইত, তৰে উক্ত জ্ঞান আদৰেই ক্ষরিত হইত না । মনে কর, যদি জগতে দৃশ্যমান বস্তুর পরস্পর বিলক্ষণ অসম্বন্ধ থাকিত, তবে, তাহাদের নির্ভর স্থল এক মাত্র, এই কাৰ্য্যমূলক যুক্তির উদয় হইত না । সুতরাং ঈশ্বর অদ্বিতীয় এই তত্ত্বকরণের প্রতি অত্যন্ত ব্যাঘাত জন্মিত। যদি জগতে কেবলই দুঃখ ক্লেশ দৃষ্ট হইত, মুখ কিছু মাত্র থাকিত না, তাহাহইলে এই কাৰ্য্যমূলক যুক্তি উস্তাবিত হইত না যে জগতের দৃশ্যমান পদার্থ স্বজনের উদ্দেশ্য মঙ্গল । ঐ যুক্তি উদ্ভাবিত না হইলে এই জ্ঞানের উদয় হষ্টত না যে ঈশ্বর সম্পূর্ণরূপে মঙ্গলময় । মনের এক বৃত্তির সহিত অন্যবৃত্তির সম্বন্ধ আছে, মানসিক এক কাৰ্য্যের সহিত অন্য কার্য্যের সম্বন্ধ আছে । জগতীয় পদার্থের জ্ঞান অর্থাৎ বিজ্ঞান ও তন্মুলক যুক্তি অর্থাৎ কার্যমূলকযুক্তির সহিত ঈশ্বরজ্ঞানেদয়ের দৃঢ়তর সম্বন্ধ আছে। ধৰ্ম্মতত্ত্বপ্রত্যয়ের স্ফারণ ও পরিশোধন জন্য বিজ্ঞান এতদ্রুপ আবশ্যক যে, হয় ত বিজ্ঞানাভাবে অধুনাতন কালের সকল লোক অদ্যাপি অশুভাধিষ্ঠাত্রী কদৰ্য্যপ্রকৃতি কদৰ্য্যাকার কপিত দেবদেবী সকলের উপাসনা করিত। কিন্তু কাৰ্য্যমূলকযুক্তি যদিও এতদ্রুপ আবশ্যক তথাপি বুদ্ধি ও বিবেক ংঘটিত আত্মপ্রত্যয় আমাদিগের ঈশ্বরজ্ঞানের প্রধান যুলস্বরূপ বলিতে হইবে। ঐ আত্মপ্রত্যয় ব্যতীত যুক্তি কতদূর গমন করিতে সক্ষম হয় ? ঐ আত্মপ্রত্যয় বশতঃ আমরা প্রমরণশীল পদার্থ মধ্যে থাকিয়াও এক অমর নিত্য অবি