পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । 8° অট্টালিকাকে দেখিয়া কেবল সম্মুখে একটি অট্টালিকা মাত্র আছে এই বোধ হয়, দিবালোক সমুদিত না হইলে তাহা কি প্রকার অট্টালিকা তাহ জানা যায় না, সেইরূপ, কোন পূর্ণ পুরুষ আছেন, মনুষ্য প্রথমে এইমাত্র জানিতে সক্ষম হয়, তৎপরে জ্ঞানালোকের উদয় হইলে তঁাহাকে বিশেষ রূপে জানিতে পারে। র্যাহারা মনুষ্যের অজ্ঞানান্ধ অবস্থার ধর্মের সহিত সভ্যাবস্থার ধর্মের তুলনা করিয়া উভয়ের মধ্যে কোন সম্বন্ধ দেখিতে পান না, উrহারা বৃক্ষবীজের সহিত ফলস্কুলে পরিশোভিত বিস্তীর্ণছায়াপ্রদ মহোপকারী মহাদ্রুমের তুলনা করিয়া দুয়ের মধ্যে কোন সম্পর্ক না দেখিলেও না দেখিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবিক যেমন ‘ বৃক্ষ-বীজের সহিত বৃক্ষের সম্বন্ধ আছে তেমনি মনুষ্যের অজ্ঞানান্ধ অবস্থার ধর্মের সহিত জ্ঞানালোকসমুজ্জলিত অবস্থার ধর্মের ‘সম্বন্ধ আছে । অন্য সকল প্রকার জ্ঞানের উন্মেষ জন্য যেমন ঈশ্বর-বাক্য আবশ্যক করে না তেমনি ঈশ্বর জ্ঞানের উন্মেষ জন্য ঈশ্বরের আত্মপরিচয় প্রদান আবশ্যক করে না। অন্য বিষয় সম্বন্ধীয় ভ্ৰমাত্মক মতের উচ্ছেদ জন্য যেমন ঈশ্বরপ্রত্যাদেশ আবশ্যক করে না, তেমনি ধৰ্ম্মসম্বস্বীয় ভ্ৰমাত্মক মতের উচ্ছেদ জন্য ঈশ্বরপ্রত্যাদেশ আৰশ্যক করে না । ঈশ্বরের নিয়মে পক্ষপাত নাই। উন্নতি-বিষয়ে অন্যান্য প্রকার জ্ঞান যে নিয়মের অধীন ঈশ্বরজ্ঞানও সেই নিয়মের অধীন। - . . . . অন্যান্য জ্ঞান লাভ অপেক্ষ ঈশ্বরজ্ঞান লাভ দুরূহ নহে তাহার প্রমাণ এই যে, অনেক অসভ্য জাতিদিগের