পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম-অধ্যায় । । 君毒” শক্তিকে অবলম্বন করিয়া নির্দিষ্ট ঐশিক অভিপ্রায়ানুসারে কাৰ্য্য করিতেছে। কিন্তু তা বলিয়া কোন বস্তুই যে স্বাধীন নহে এমন নহে। । আমাদের এক আত্মপ্রত্যয় আছে যে আমাদিগের ইচ্ছ। স্বাধীন। সে আত্মপ্রত্যকে দার্শনিক তর্ক কোন রূপে বিনাশ করিতে সক্ষম হয় না। যখন মনুষ্য চেষ্টা করিলে আপনার স্বভাবকে ক্রমশঃ পরিবর্তন করিতে সক্ষম হয় তখন তাহার যে স্বাধীনতা আছে তাহার আর সন্দেহ নাই। আমাদিগের ইচ্ছাকে পুনঃ পুনঃ পরিবর্তন করিবার ক্ষমতা আছে, আমরা তাই শতবর্ণর—সহস্রবার পরিবর্তন করিতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। ইহা যথার্থ বটে ষে, হেতুৰশতঃ আমরা সকল কাৰ্য্য করি কিন্তু আমাদিগের এক সহজ জ্ঞান আছে যে আমরা হেতুর অধীন নই। এক প্রকার কার্ষ্যের প্রবল হেতু সত্ত্বেও তদ্বিপরীত কাৰ্য্য, যাহার হেতু এত প্রবল নহে, তাহা আমরা অনায়াসে করিতে পারি। বদ্ধভাবযুক্ত জগতের কার্য্য ও মনুষ্যের স্বাধীন-ইচ্ছসমুদ্ভূত কাৰ্য এই দুই প্রকার কার্যের সামঞ্জস্য’ করিয়া ঈশ্বর কিরূপে জগৎ চালাইতেছেন তাহা আমরা জ্ঞাত মহি। জ্ঞাত না থাকিবার কারণ এই যে, আমরা নিজে ঈশ্বর নহি । কিন্তু আমরা এই মাত্র জ্ঞাত আছি যে, জগতের সকল কাৰ্য্য মঙ্গলের দিকে উন্মুখ। ঈশ্বর যে সকল জীবকে সম্যক্ৰূপে । মুখী করিবেন তাহার আর সন্দেহ নাই। র্তাহার মঙ্গলস্বরূপ পৰ্য্যালোচনা করিয়া আমরা ইহা স্থির করিতে সক্ষম