পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्छ अथrांग्र । ко প্রার্থনাই অসংখ্য গুণে শ্রেষ্ঠতর। শেষোক্ত প্রকার প্রার্থনা যে শ্রেষ্ঠতর তাহা, জামাদিগের মহত্ত্ব-ৰোধৱত্তি বলিয়া দিতেছে। সাংসারিক কামনা সিদ্ধির প্রার্থনা অপেক্ষ আধ্যাত্মিক কামনা সিদ্ধির নিমিত্ত প্রার্থনা যে অসংখ্য গুণে মহৎ তাহার অার সন্দেহ নাই। প্রথমোক্ত প্রার্থন অপেক্ষা শেষোক্ত প্রার্থন শ্রেষ্ঠতর, তাহ আবার ঈশ্বরের এই বিধান হইতে জানা যাইতেছে যে প্রার্থনা দ্বারা সাংসারিক কামনা সুসিদ্ধির স্থিরতা নাই। এপ্রকার কামনা কখন সিদ্ধ হয়, কখন হয় না। অনেক স্থলে স্পষ্ট দেখা যায় যে, সাংসারিক র সিদ্ধি প্রাক্কতিক নিয়ম ভঙ্গের প্রতি নির্ভর কয়ে, কিন্তু ঈশ্বরনিয়ম ভঙ্গ করিয়া কোন প্রার্থন পূর্ণ করেন না। পরন্তু আধ্যাত্মিক কামনা সিদ্ধি সম্বন্ধে ঈশ্বর এইরূপ বিধান করিয়া দিয়াছেন যে, একান্ত চিত্তে প্রার্থনা করিলে সে প্রার্থনা সুশ্যই পূর্ণ হয়। অন্য প্রাকৃতিক নিয়ম সকলের মধ্যে ইহাও এক নিয়ম। বিশেষতঃ আধ্যাত্মিক কাম"নার প্রকৃতি আলোচনা করিলে প্রতীত হইবে যে, ঈশ্বরের নিকট তাহার সুসিদ্ধির জন্য প্রার্থনা না করিলে কোন মতেই চলে না। ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হইবার নিমিত্ত ইচ্ছা না হইলে তাহাকে কি প্রকারে পাওয়া যাইতে পারে ? কিন্তু ইহা একটা প্রাকৃতিক নিয়ম যে ঈশ্বরপ্রাপ্তির ইচ্ছা হইলে তাহার সঙ্গে সঙ্গে তাহার জন্য র্তাহার নিকট প্রার্থনা উত্থিত হয়, তাঁহা কোন মতে না হইয়া থাকিতে পারে না। এইরূপ প্রার্থনা স্বভাৰতঃ মন হইতে উত্থিত হয়। ঈশ্বর নিরতিশয় মহাষ, আমরা ক্ষুদ্র কীষ্ট, তাহার সহবাস লাভ করা