পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&s ধৰ্ম্মত্তৰ-বিৰেক । আমাদিগের পক্ষে অতীব দুরূহ। অতএব ঈশ্বরের সহবাস লাভ করিতে র্তাহার নিকট তত্তজন্য প্রার্থনা না করিয়া কি প্রকারে থাক যাইতে পারে ? ঈশ্বরের নিকট ঈশ্বরের সহবাস ও ধৰ্ম্ম বল জন্য প্রার্থনা করা যেমন স্বাভাবিক, ঈশ্বরের সে প্রার্থনা পূরণ করা তেমনি স্বাভাবিক। ঘরের বাতায়ন উদ্‌ঘাটন করিলেই যেমন সুৰ্য্য-জ্যোতি তাহাতে প্রবেশ করে, তেমনি প্রার্থনা দ্বারা মনের দ্বার উদ্‌ঘাটন করিয়া দিলেই তাহাতে ঈশ্বরের বল প্রবেশ করে। কেহ কেহ এই কথা বলেন যে, যখন এইরূপ প্রার্থনা পূরণ আমরা স্বভুব হইতে প্রাপ্ত হইতেছি তখন ঈশ্বর তার সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সেই প্রার্থনা পূর্ণ করিলেন, ইহা কি প্রকারে বলা যাইতে পারে ? তাহার উত্তর এই যে, যখন ঈশ্বরকে অবলম্বন করিয়া প্রকৃতি কাৰ্য্য করিতেছে, ও যখন ঈশ্বর আমাদিগের প্রার্থনা জানিতেছেন, ও যখন ঈশ্বরের বর্তমান ইচ্ছার ভুর সকল বস্তু ও ঘটনা নির্ভর করিতেছে, তখন ঈশ্বর ধৈ নিজে সেই প্রার্থনা ‘পূর্ণ করিলেন না ইহা আমরা কি প্রকারে বিশ্বাস করিতে পারি ? 哆 . কামনা সিদ্ধি জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা যেমন আৰশ্যক, আত্ম-চেষ্টাও তেমনি আবশ্যক। ঈশ্বর তাহাদিগকে সাহায্য করেন, যাহারা আপনাদিগকে আপনার সাহায্য করে । * আত্ম-প্রভাবাৎ দেব-প্রসাদাৎ’ অর্থাৎ আত্মচেষ্টা ও ঈশ্বরের অনুগ্রহ দ্বারা সকল কামনা সিদ্ধ হয়। মনুষ্যের স্বাধীনতা আছে, এই জন্য আত্ম-চেষ্টকর্তব্য, মনুষ্য ক্ষীণ, এই জন্য ঈশ্বরের সহায়তা অবশ্যক । -