পাতা:ধর্ম্মতত্ত্বদীপিকা.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ ধৰ্ম্মতত্ত্বৰিবেক । পাইয়kপুনরায় যে স্থানে তাহ প্রকাশ পায় তাহাপুৰ্ব্বাপেক্ষ উজ্জ্বলতর বেশে প্রকাশ পাইয়া থাকে, যখন সকল বস্তুর গতি, উন্নতির দিকে হইতেছে তখন ঈশ্বরের মহত্তম স্থষ্টি জীবাত্মা ক্রমশঃ উন্নত হইবে, আর এক অবস্থা অর্থাৎ লোক হইতে উৎকৃষ্টতর লোকে গমন করিবে, এমন অনুমান যুক্তিসিদ্ধ। অতএব প্রতীত হইতেছে যে পরকালে আত্মার মনুষ্যের উৎকৃষ্ট মনোবৃত্তি ক্রমশঃ পরিশোধিত ও উন্নত হুইয়া তাহাকে যে আনন্দ প্রদান করিৰে তাছা এক্ষণে কল্পনাও করা যাইতে পারে না । কিন্তু আত্মার মত উন্নতি হউক না কেন তাহা কখনই ঈশ্বরের ন্যায় হইতে পরিবে না। স্থষ্ট বস্তু কখন অষ্টার ন্যায় হইতে পারে না। ইন্দ্রিয়-চরিতার্থ-কারী বস্তু সম্ভোগে যে সুখানুভব হয় সে সুখ এবং জ্ঞান ও বিশুদ্ধ প্রীতি জনিত সুখ অর্থাৎ আস্থ্যাত্মিক সুখ, এই উভয় প্রকার সুখের ভাব তুলনা করিলে আধ্যাত্মিক সুখ যে অনন্ত গুণে উৎকৃষ্ট তাহার সন্দেহ নাই। যখন পারলৌকিক সুখের অবস্থা অত্যুৎক্লষ্ট সুখের অবস্থা তখন তাহা আধ্যাত্মিক সুখের অবস্থা অর্থাৎ ঈশ্বর জ্ঞান ও ঈশ্বর প্রীতি জনিত সুখের অবস্থা। পূর্বে এক অধ্যায়ে প্রদর্শিত হইয়াছে যে ঈশ্বর প্রকৃতির প্রধান ংশ আমাদিগের জ্ঞান-নেত্রের সম্বন্ধে নিবিড় অন্ধকারে আৱত। সেই অংশ ক্রমশঃ যত সেই নেত্র-সম্মুখে অনাবৃত হইতে থাকিৰে ততই আত্মা কি অপৰ্যাপ্ত আনন্দ রসে প্লাৰিত হইতে থাকিৰে। যেমন এক ত্রিভুজের দুই ভুজ বিস্তার