পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশতিতম অধ্যায় –ভক্তি। sa হিরণ্যকশিপু প্ৰহলাদকে তাড়াইয়া দিলেন, প্রহ্লাদ আবার গুরুগৃহে গেলেন । অনেক কালের পর আবার অtনাইয়৷ অধীত বিদ্যার আবার পরীক্ষা লইতে বসিলেন। প্রথম উত্তরেই প্ৰহলাদ আবার সেই কথা বলিল, কারণং সকলস্তাস্ত স নো বিষ্ণু প্ৰসাদতু। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে মারিয়া ফেলিতে হুকুম দিলেন। শত শত দৈত্য র্তাহাকে কাটিতে আসিল, কিন্তু প্রহ্নাদ “দৃঢ়নিশ্চয়” “ঈশ্বরাপিত মনোবুদ্ধি”—যাহারা মারিতে আসিল, প্ৰহলাদ তাহাদিগকে বলিল, “বিষ্ণু তোমাদের অস্ত্রেও আছেন, অামাতেও আছেন, এই সত্যানুসারে, আমি তোমাদের অস্ত্রের দ্বারা আক্রান্ত হইব না।” ইহাই “দৃঢ়নিশ্চয়”। শিষ্য। জানি যে বিষ্ণুপুরাণের উপন্যাসে অাছে যে, প্রস্তাদ অস্ত্রের আঘাতে অক্ষত রহিলেন । কিন্তু উপন্যাসেই এমন কথা থাকিতে পারে,—যথার্থ এমন ঘটনা হয় না । যে যেমন ইচ্ছা ঈশ্বরভক্ত হউক, নৈসর্গিক নিয়ম তাহার কাছে নিষ্ফল হয় না—অস্ত্রে পরমভক্তেরও মাংস কাটে । গুরু। অর্থাৎ তুমি Miracle মান না। কথাটা পুরাতন। আমি তোমাদের মত, ঈশ্বরের শক্তিকে সীমাবদ্ধ করিতে সম্মত নহি । বিষ্ণুপুরাণে যেরূপে প্রহ্নাদের রক্ষা কথিত হইয়াছে, ঠিক সেইরূপ ঘটিতে দেখা যায় না বটে, আর উপন্যাস বলিয়াই সেই বর্ণনা সম্ভবপর হইয়াছে, ইহাও স্বীকার করি। কিন্তু একটি নৈসর্গিক নিয়মের দ্বারা ঈশ্বরামুকম্পায় নিয়মান্তরের অদৃষ্টপূর্ব প্রতিষেধ যে ঘটিতে পারে না, এমত কথা তুমি বলিতে পার না। অস্ত্রে পরম ভক্তেরও মাংস কাটে, কিন্তু ভক্ত, ঈশ্বরামুকম্পায় আপনার বল বা বুদ্ধি এরূপে প্রযুক্ত করিতে পারে, যে অস্ত্র নিষ্ফল হয়। বিশেষ, যে ভক্ত, সে “দক্ষ” ; ইহা পূর্বে কথিত হইয়াছে, তাহার সকল বৃত্তিগুলি সম্পূর্ণ অনুশীলিত, সুতরাং সে অতিশয় কাৰ্য্যক্ষম ; ইহার উপর ঈশ্বরানুগ্রহ পাইলে সে যে নৈসর্গিক নিয়মের সাহায্যেই, অতিশয় বিপন্ন হইয়াও আত্মরক্ষা করিতে পারিবে, ইহা অসম্ভব কি ?ঞ্জ যাহাই হউক, এ সকল কথায় আমাদিগের কোন প্রয়োজন এক্ষণে দেখা যাইতেছে না,—কেন না, আমি ভক্তি বুঝাইতেছি, ভক্ত কি প্রকারে ঈশ্বরামুগ্রহ প্রাপ্ত হন, বা হন কি না, তাহা বুঝাইতেছি না।

  • ঠিক এই কথাটি প্রতিপন্ন করিবার জষ্ঠ সিপাহী হন্ত হইতে দেবী চৌধুরাণীর উদ্ধার বর্তমান লেখক কর্তৃক প্রণীত হইয়াছে।

BBB BBBDS DDBB BBBDS DDD BBD BBBD DBBS BB BBBBBB BB BBB B BBBBS DBBD দেখিতে পারেন। داد. "