উনবিংশতিতম অধ্যায়।--ভক্তি। ' . শিল্প। বুৰিলাম এই যে, ভক্তের মনে বড় একটা ভারি মুখ রাত্রি দিন রহিয়াছে । বলিয়, অন্ত মুখ হুঃখ, মুখ হুঃখ বলিয়াই বোধ হয় না। । * . . . . গুরু। ঠিক তাই। সৰ্প কর্তৃক প্রস্তাদ বিনষ্ট হইল না, দেখিয়া হিরণ্যকশিপু মত্ত হস্তিগণকে আদেশ করিলেন যে, উহাকে দাতে ফাড়িয়া মারিয়া ফেল । হস্তীদিগের দাত ভাঙ্গিয়া গেল, প্ৰহলাদের কিছু হইল না ; বিশ্বাস করিও না—উপশ্বাস মাত্র। কিন্তু তাহাতে প্রহসাদ পিতাকে কি বলিলেন শুন,— দন্ত গজানাং কুলিশ গ্ৰনিষ্ঠুরা: শীর্ণ যুদেতে ন বলং মমৈতৎ । মহাবিপংপাপবিনাশনোহয়ং জনাৰ্দনামুল্মরণাকুভাব: ॥ Y “কুলিশাগ্রকঠিন এই সকল গজদন্ত যে ভাঙ্গিয়া গেল, ইহা অামার বল নহে। যিনি মহাবিপৎ ও পাপের বিনাশন, র্তাহারই স্মরণে হইয়াছে।” আবার সেই ভগবদ্বাক্য স্মরণ কর “নির্মমো নিরহঙ্কারঃ” ইত্যাদি। এ ইহাই নিরহস্কার। ভক্ত জানে যে সকলই ঈশ্বর করিতেছেন, এই জন্য ভক্ত নিরহস্কার। হস্তী হইতে প্রহ্নাদের কিছু হইল না দেখিয়া হিরণ্যকশিপু আগুনে পোড়াইতে আদেশ করিলেন। প্ৰহলাদ আগুনেও পুড়িল না। প্রহ্নাদ “শীতোষ্ণসুখদু:খেষু সমঃ” তাই প্রহ্নাদের সে আগুন পদ্মপত্রের স্যায় শীতল বোধ হইল । * তখন দৈত্যপুরোহিত ভার্গবেরা দৈত্যপতিকে বলিলেন যে, “ইহাকে আপনি ক্ষমা করিয়া আমাদের জিম্মা করিয়া দিন । তাহাদেও যদি এ বিষ্ণুভক্তি পরিত্যাগ না করে, তবে আমরা অভিচারের দ্বার ইহাকে বধ করিব। আমাদের কৃত অভিচার কখন বিফল হয় না।” দৈত্যেশ্বর এই কথায় সম্মত হইলে, ভার্গবের প্রহ্নাদকে লইয়া গিয়া, অন্যান্ত দৈত্যগণের সঙ্গে পড়াইতে লাগিলেন। প্রহ্লাদ সেখানে নিজে একটি ক্লাস খুলিয়া বসিলেন। এবং দৈত্যপুত্রগণকে একত্রিত করিয়া তাহাদিগকে বিষ্ণুভক্তিতে উপদেশ দিতে লাগিলেন। প্রহ্লাদের বিষ্ণুভক্তি আর কিছুই নহে—পরহিতব্ৰত মাত্র— বিস্তার: সৰ্ব্বভুতস্য বিষ্ণোব্বিশ্বমিদং জগৎ । দ্রষ্টব্যমাত্মবং তস্মাদভেদেন বিচক্ষণৈ: | 碟 橄 橄
- ,
- নিৰ্ম্মমো নিরহঙ্কার: সমদু:খসুখ: ক্ষম। { গীতোষ্ণসুখদু:খেষু সম: সঙ্গবিবর্জিতঃ ।