পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘. . . . . সমভমারাধনমচ্যুতস্য । অর্থাৎ বিশ্ব, জগৎ সৰ্ব্বভূত, বিষ্ণুর বিস্তার মাত্র ; বিচক্ষণ ব্যক্তি এই জন্ত সকলকে আপনার সঙ্গে অভেদ দেখিবেন । * * হে দৈত্যগণ । তোমরা সৰ্ব্বত্র সমান দেখিও, এই সমন্ধ (আপনার সঙ্গে সৰ্ব্বভূতের ) ঈশ্বরের আরাধনা । : প্রহ্নাদের উক্তি বিষ্ণুপুরাণ হইতে তোমাকে পড়িতে অনুরোধ করি। এখন কেবল আর দুইটি শ্লোক শুন । অথ ভদ্রাণি ভূতানি হীনশক্তিরহং পরম্। মুদ্রং তথাপি কুৰ্ব্বত হানিদ্ধের্ষফলং যতঃ ॥ বন্ধবৈরাণি ভূতানি দ্বেষং কুৰ্ব্বস্তি চেত্ততঃ।

  • শোচ্যান্তহোইতিমোহেন ব্যাপ্তানীতি মনীষিণা ॥

“আন্তের মঙ্গল হইতেছে, আপনি হীনশক্তি ইহা দেখিয়াও আহলাদ করিও, দ্বেষ করিও না, কেন না, দ্বেষে অনিষ্টই হইয়া থাকে। যাহাঁদের সঙ্গে শত্রুত বদ্ধ হইয়াছে, তাহাদেরও যে দ্বেষ করে, সে অতি মোহেতে ব্যাপ্ত হইয়াছে, বলিয়া জ্ঞানীরা দুঃখ করেন।” এখন সেই ভগবন্ধুক্ত লক্ষণ মনে কর। - *যম্মান্নোদ্বিজতে লোকে লোকান্নোদ্বিজতে চ যঃ” এবং ‘ন দ্বেষ্টি e শব্দ মনে কর। ভগবদ্বাক্যে পুরাণকৰ্ত্তার কৃত এই টকা। প্রস্তাদ আবার বিষ্ণুভক্তির উপদ্রব করিতেছে, জানিয়া হিরণ্যকশিপু তাহাকে বিষপান করাইতে আজ্ঞা দিলেন । বিষেও প্ৰহলাদ মরিল না। তখন দৈত্যেশ্বর পুরোহিতগণকে ডাকাইয়া অভিচার-ক্রিয়ার দ্বার প্রহ্নাদের সংহার করিতে আদেশ করিলেন। তাহারা প্ৰহলাদকে একটু বুঝাইলেন ; বলিলেন—তোমার পিতা জগতের ঈশ্বর, তোমার অনন্তে কি হইবে ? প্রহসাদ “স্থিরমতি” + ; প্রহ্নাদ তাহাদিগকে হাসিয়া উড়াইয়া দিল। তখন দৈত্য-পুরোহিতেরা ভয়ানক অভিচার-ক্রিয়ার স্বষ্টি করিলেন। অগ্নিময়ী মূৰ্ত্তিমতী অভিচার-ক্রিয় প্রহ্নাদের হৃদয়ে শূলাঘাত করিল। প্রহ্নাদের হৃদয়ে শূল ভাঙ্গিয়া গেল। তখন সেই মূৰ্ত্তিমান অভিচার, নিরপরাধ প্রহ্নাদের প্রতি প্রযুক্ত হইয়াছিল বলিয়া অভিচারকারী পুরোহিতদিগকেই ধ্বংস করিতে গেল। তখন প্রহ্নাদ o

  • যে ন হয়তি ম ৰেষ্টিন শোচতি ন কাঙ্গতি । অনিকেত: স্থিরমতির্ভক্তিমান মে প্রিয়ে নরঃ।