* যাহার বাহ যোগ্য, সে সেই ভাগের ভারপ্রাপ্ত। পুরুষের ভাগ-পালন ও রক্ষণ গ্ৰী । অন্তভারপ্রাপ্ত পালন ও রক্ষণে সক্ষম হইলেও বিরত। বছপুরুষপরম্পরায় এইরূপ ििछ ও অনভ্যাস বশতঃ সামাজিক নারী আত্মপালনে ও রক্ষণে অক্ষম। এ অবস্থায় পুরুষ স্ত্রীপালন ও রক্ষণ না করিলে অবশু স্ত্রীজাতির বিলোপ ঘটিবে। অথচ যদি পুনশ্চ | তাহাদিগের সে শক্তি পুনরভ্যাসে পুরুষপরম্পর উপস্থিত হইতে পারে, এমন কথা বল, তবে বিবাহপ্রথার বিলোপ এবং সমাজ ও ধৰ্ম্ম বিনষ্ট না হইলে তাহার সম্ভাবনা নাই, ইহাও বলিতে হইবে । শিস্য। তবে পাশ্চাত্যেরা যে স্ত্রীপুরুষের সাম্যস্থাপন করিতে চাহেন, সেটা সামাজিক বিড়ম্বন মাত্র ? . গুরু। সাম্য কি সম্ভবে ? পুরুষে কি প্রসব করিতে পারে, না শিশুকে স্তন্ত পান করাইতে পারে ? পক্ষাস্তরে স্ত্রীলোকের পল্টন লইয়া লড়াই চলে কি ? শিয়। তবে শারীরিক বৃত্তির অনুশীলনের কথা যে পূৰ্ব্বে বলিয়াছিলেন, তাহ স্ত্রীলোকের পক্ষে খাটে না ? গুরু । কেন খাটিবে না ? যাহার যে শক্তি আছে, সে তাহার অনুশীলন করিবে। স্ত্রীলোকের যুদ্ধ করিবার শক্তি থাকে, তাহ অনুশীলিত করুক ; পুরুষের স্তন্যপান করাইবার শক্তি থাকে, অমুশীলিত করুক। শিষ্য। কিন্তু দেখা যাইতেছে যে পাশ্চাত্য স্ত্রীলোকেরা ঘোড়ায় চড়া, বন্দুক ছোড়া প্রভৃতি পৌরুষ কৰ্ম্মে বিলক্ষণ পটুতা লাভ করিয়া থাকে। গুরু। অভ্যাসে ও অনুশীলনে যে প্রভেদের কথা পুৰ্ব্বে বলিয়াছি, তাহা স্মরণ কর। অমুশীলন, শক্তির অমুকুল ; অভ্যাস, শক্তির প্রতিকূল অনুশীলনে শক্তির বিকাশ ; অভ্যাসে বিকার । এ সকল অভ্যাসের ফল, অমুশীলনের নহে। অভ্যাস, প্রয়োজন মতে কৰ্ত্তব্য, অনুশীলন সৰ্ব্বত্র কৰ্ত্তব্য । যাক। এ তত্ত্ব যেটুকু বলা আবশ্বক তাহ বলা গেল। এখন অপত্যপ্রীতি ও দম্পতিগীতি সম্বন্ধে কয়টা বিশেষ প্রয়োজনীয় কথা পুনরুক্ত করিয়া সমাপ্ত করি। প্রথম, বলিয়াছি যে অপত্যপ্রতি স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত। দম্পতিপ্রতি স্বতঃস্ফূর্ত নহে, কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত ইন্দ্রিয়তৃপ্তিলালসা ইহার সঙ্গে সংযুক্ত হইলে, ইহাও স্বতঃস্ফুর্তের ন্যায় বলবতী
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।