পঞ্চম অধ্যায় —অনুশীলন। । २$ সময়ে বলিয়াছিলেন, “বেদে ধৰ্ম্ম নহে—ধৰ্ম্ম লোকহিতে”—তিনি ঈশ্বর ইউন বা না হউন, আমি তাহাকে নমস্কার করি। যিনি একাধারে শাক্যসিংহ, যীশুখৃষ্ট, মহম্মদ ও রামচন্দ্ৰ ; যিনি সৰ্ব্ববলাধার, সৰ্ব্বগুণাধার, সৰ্ব্বধৰ্ম্মবেত্ত, সৰ্ব্বত্রপ্রেমময়, তিনি ঈশ্বর হউন বা না হউন, আমি তাহাকে নমস্কার করি। নমো নমস্তেহস্তু সহস্ৰকৃত্ব: | পুনশ্চ ভূয়োপি নমো নমস্তে । পঞ্চম অধ্যায়।—অনুশীলন। শিষ্য। অদ্য অবশিষ্ট কথা শ্রবণের বাসনা করি। * গুরু । সকল কথাই অবশিষ্টের মধ্যে। এখন আমরা পাইয়াছি কেবল ছুইট কথা । (১) মানুষের মুখ, মনুষ্যত্বে ; (২) এই মনুষ্যত্ব, সকল বৃত্তিগুলির উপযুক্ত ফুৰ্ত্তি, পরিণতি ও সামঞ্জস্যের সাপেক্ষ । এক্ষণে, এই বৃত্তিগুলি কি প্রকার, তাহার কিছু পৰ্য্যালোচনার প্রয়োজন । বৃত্তিগুলিকে সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। (১) শারীরিক ও (২) মানসিক । মানসিক বৃত্তিগুলির মধ্যে কতকগুলি জ্ঞান উপার্জন করে, কতকগুলি কাজ করে, বা কার্য্যে প্রবৃত্তি দেয়, আর কতকগুলি জ্ঞান উপার্জন করে না, কোন বিশেষ কার্য্যের প্রবর্তৃকও নয়, কেবল আনন্দ অনুভূত করে। যেগুলির উদ্দেশু জ্ঞান, সেগুলিকে জ্ঞানার্জনী বলিব । যেগুলির প্রবৰ্ত্তনায় আমরা কার্য্যে প্রবৃত্ত হই, বা হইতে পারি, সেগুলিকে কাৰ্য্যকারিণী বৃত্তি বলিব। আর যেগুলি কেবল আনন্দ অনুভূত করায়, সেগুলিকে আহলাদিনী বা চিত্তরঞ্জিনী বৃত্তি বলা যাউক । জ্ঞান, কৰ্ম্ম, আনন্দ, এ ত্রিবিধ বৃত্তির ত্ৰিবিধ ফল। সচিদানন্দ এই ত্ৰিবিধ বৃত্তির প্রাপ্য। শিষ্য। এই বিভাগ কি বিশুদ্ধ ? সকল বৃত্তির পরিতৃপ্তিতেই ত আনন্দ ? গুরু । তা বটে। কিন্তু এমন কতকগুলি বৃত্তি আছে যাহাদিগের পরিতৃপ্তির ফল কেবল আনন্দ—আনন্দ ভিন্ন অন্ত ফল নাই। জ্ঞানার্জনী বৃত্তির মুখ্য ফল জ্ঞানলাভ, গৌণ ফল আনন্দ । কাৰ্য্যকারিণী বৃত্তির মুখ্য ফল কাৰ্য্যে প্রবৃত্তি, গৌণ ফল আনন্দ । কিন্তু এগুলির মুখ্য ফলই আনন্দ—অন্য ফল নাই। পাশ্চাত্যের ইহাকে ZEsthetic Faculties Koso | - 哆
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।