পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানি না। গৃহে অনেক আলো জ্বলিতেছে কেবল সিড়িটুকু অন্ধকার। এই জ্ঞানमस्रोठास्त्र दाख्द्रिा ७हे ख्यान श३ङ्गा कि कब्रिएउ श्ञ उोश छाप्न मा। ७क जन हेराङ्गज স্বদেশ হইতে নূতন আসিয়া একখানি বাগান কিনিয়াছিলেন। মালী বাগানের নারিকেল পাড়িয়া আনিয়া উপহার দিল। সাহেব ছোবড়া খাইয় তাহ অশ্বাহ বলির পরিত্যাগ করিলেন। মালী উপদেশ দিল, “সাহেব। ছোবড়া খাইতে নাই—জাট খাইতে হয়।” তার পর আঁৰ আসিল। সাহেব মালীর উপদেশবাক্য স্মরণ করিয়া ছোবড় ফেলিয়া দিয়৷ আঁটি খাইলেন। দেখিলেন, এবারও বড় রস পাওয়া গেল না। মালী বলিয়া দিল । * "সাহেব, কেবল খোলাখান ফেলিয়া দিয়া, শাসটা ছুরি দিয়া কাটিয়া খাইতে হয় r সাহেবের সে কথা স্মরণ রহিল। শেষ ওল । আসিল । সাহেব, তাহার খোসা ছাড়াইয়া কাটিয়া খাইলেন। শেষ যন্ত্রণায় কাতর হইয়া মালীকে প্রহারপূর্বক আধা কড়িতে বাগান বেচিয়া ফেলিলেন। অনেকের মানসক্ষেত্র এই বাগানের মত ফলে ফুলে পরিপূর্ণ, তবে অধিকারীর ভোগে হয় না। তিনি ছোবড়ার জায়গায় আঁটি, আঁটির জায়গায় ছোবড়া খাইয়া বসিয়া থাকেন। এরূপ জ্ঞান বিড়ম্বন মাত্র। শিষ্য। তবে কি জ্ঞানার্জনী বৃত্তি সকলের অনুশীলন জন্য জ্ঞান নিম্প্রয়োজন ? গুরু। পাগল। অস্ত্রখানা শানাইতে গেলে কি শূন্যের উপর শান দেওয়া যায় ? জ্ঞেয় বস্তু ভিন্ন কিসের উপর অনুশীলন করিবে ? জ্ঞানার্জনী বৃত্তি সকলের অনুশীলন জন্য জ্ঞানার্জন নিশ্চিত প্রয়োজন। তবে ইহাই বুঝাইতে চাই যে, জ্ঞানার্জন যেরূপ উদ্দেশু, বৃত্তির বিকাশও সেইরূপ মুখ্য উদ্দেশ্য। আর ইহাও মনে করিতে হইবে, জ্ঞানার্জনেই জ্ঞানার্জনী বৃত্তিগুলির পরিতৃপ্তি। অতএব চরম উদ্দেশ্ব জ্ঞানার্জনই বটে। কিন্তু যে অনুশীলনপ্ৰথা চলিত, তাহাতে পেট বড় না হইতে আহার ঠুসিয়া দেওয়া হইতে থাকে। পাকশক্তির বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি নাই, ক্ষুধা বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি নাই—আধার বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি নাই—ঠসে গেলা । যেমন কতকগুলি অবোধ মাতা এইরূপ করিয়া শিশুর শারীরিক অবনতি সংসাধিত করিয়া থাকে, তেমন এখনকার পিতা ও শিক্ষকের পুত্র ও ছাত্রগণের অবনতি সংসাধিত করেন। - জ্ঞানার্জন ধর্মের একটি প্রধান অংশ। কিন্তু সম্প্রতি তৎসম্বন্ধে এই তিনটি সামাজিক পাপ সর্বদা বর্তমান । ধৰ্ম্মের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য সমাজে গৃহীত হইলে, এই কুশিক্ষারূপ পাপ সমাজ হইতে দূরীকৃত হইবে।