পত্রিতা শ্ৰেষ্ঠ সেখানে তাহারও স্বামীর ভক্তির পাত্র হওয়া উচিত বটে। গৃহধর্বে যাহার নিম্নস্থ, তাহারা যদি ভক্তির পাত্রগণকে ভক্তি না করে, যদি পিতা মঞ্জিৰে কস্তাৰ বৰু ভক্তি না করে, যদি স্বামীকে শ্ৰীভক্তি না করে, যদি স্ত্রীকে স্বামী দিশিক্ষাদাতাকে ছাত্র ঘৃণা করে, তবে সে श्राईष्ट्रिोज $प्रछि नाहे-न F. বিশেষ। এ কথা কষ্ট পাইয়া বুঝাইতে হইবে না, প্রায় স্বতঃসিদ্ধ। এই সকল झुंड পাত্রের প্রতি সমূচিত ভক্তির উজেক অকুশীলনের একটি মুখ্য উদেশু। হিন্দুধর্থেরও সেই উদেশ্ব। বরং অন্যাস্ত ধর্মের অপেক্ষ এ বিষয়ে হিন্দুধর্মেরই প্রাধান্ত আছে। হিন্দুধৰ্ম্ম যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম, ইহা তদ্বিষয়ে অন্ততর প্রমাণ । (২) এখন বুঝিয়া দেখ, গৃহস্থ পরিবারের যে গঠন, সমাজের সেই গঠন গৃহের কৰ্ত্তার স্যায়, পিতা মাতার স্যায়, রাজা সেই সমাজের শিরোভাগ। র্তাহার গুণে, তাহার দণ্ডে, র্তাহার পালনে সমাজ রক্ষিত হইয়া থাকে । পিতা যেমন সন্তানের ভক্তির পাত্র, রাজাও সেইরূপ প্রজার ভক্তির পাত্র। প্রজার ভক্তিতেই রাজা শক্তিমান—নহিলে রাজার নিজ বাহুতে বল কত ? রাজা বলশূন্ত হইলে সমাজ থাকিবে না। অতএব রাজাকে সমাজের পিতার স্বরূপ ভক্তি করিবে । লর্ড রীপণ সম্বন্ধে যে সকল উৎসাহ ও উৎসবাদি দেখা গিয়াছে, এইরূপ এবং অন্যান্য সহূপায় দ্বারা রাজভক্তি অনুশীলিত করিবে। যুদ্ধকালে রাজার সহায় হইবে । হিন্দুধৰ্ম্মে পুনঃপুনঃ রাজভক্তির প্রশংসা আছে। বিলাতী ধৰ্ম্মে হউক বা না হউক, বিলাতী সামাজিক নীতিতে রাজভক্তির বড় উচ্চ স্থান ছিল। বিলাতে এখন আর রাজভক্তির সে স্থান নাই। যেখানে আছে—যথা জৰ্ম্মাণি বা ইতালি, সেখানে রাজ্য উন্নতিশীল । 够 শিষ্য। সেই ইউরোপীয় রাজভক্তিটা আমার বড় বিস্ময়কর ব্যাপার বলিয়া বোধ হয়। লোকে রামচন্দ্র বা যুধিষ্ঠিরের ন্যায় রাজাকে যে ভক্তি করিবে ইহা বুঝিতে পারি, আকবর বা অশোকের উপর ভক্তিও না হয় বুঝিলাম, কিন্তু দ্বিতীয় চালর্স বা পঞ্চদশ লুইর মত রাজার উপরে যে রাজভক্তি হয়, ইহার পর মমুষের অধঃপতনের আর গুরুতর চিহ্ন কি হইতে পারে ? গুরু । যে মনুষ্য রাজা, সেই মনুষ্যকে ভক্তি করা এক বস্তু, রাজাকে ভক্তি করা স্বতন্ত্র বস্তু । যে দেশে একজন রাজা নাই—যে রাজ্য সাধারণতন্ত্র, সেইখানকার কথা মনে করিলেই বুঝিতে পারিবে যে, রাজভক্তি কোন মনুষ্যবিশেষের প্রতি ভক্তি নহে।
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।