বাজার নিচে) আৰাই দি আন লেখা (আপনার নাশ দ্বাদশ অধ্যায়।—ভক্তি । ঈশ্বরে ভক্তি —শাগুিল্য। গুরু । শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাই ভক্তিতত্ত্বের প্রধান গ্রন্থ। কিন্তু গীতোক্ত ভক্তিতত্ত্ব তোমাকে বুঝাইবার আগে ঐতিহাসিক প্রথাক্রমে বেদে যতটুকু ভক্তিতত্ত্ব আছে, তাহ তোমাকে শুনান ভাল। বেদে এ কথা প্রায় নাই, ছান্দোগ্য উপনিষদে কিছু আছে, ইহা বলিয়াছি। যাহা আছে, তাহার সহিত শাণ্ডিল্য মহৰ্ষির নাম সংযুক্ত। - শিষ্য। যিনি ভক্তিসূত্রের প্রণেতা ? গুরু। প্রথমে তোমাকে আমার বলা কৰ্ত্তব্য যে, দুই জন শাণ্ডিল্য ছিলেন, বোধ হয়। এক জন উপনিষদ্ভুক্ত এই ঋষি । আর এক জন শাণ্ডিল্য-সূত্রের প্রণেতা। প্রথমোক্ত শাগুিল্য প্রাচীন ঋষি, দ্বিতীয় শাণ্ডিল্য অপেক্ষাকৃত আধুনিক পণ্ডিত। ভক্তিসূত্রের ৩১ সূত্রে প্রাচীন শাণ্ডিল্যের নাম উদ্ধত হইয়াছে। শিষ্য। অথবা এমন হইতে পারে যে, আধুনিক সূত্রকার প্রাচীন ঋষির নামে আপনার গ্রন্থখানি চালাইয়াছেন। এক্ষণে প্রাচীন ঋষি শাণ্ডিল্যের মতই ব্যাখ্যা করুন। গুরু। তুর্ভাগ্যক্রমে সেই প্রাচীন ঋষি-প্রণীত কোন গ্রন্থ বৰ্ত্তমান নাই। বেদান্তসূত্রের শঙ্করাচার্য্য যে ভাষ্য করিয়াছেন, তন্মধ্যে সূত্রবিশেষের ভায্যের ভাবার্থ হইতে কোলব্রুক সাহেব এইরূপ অনুমান করেন, পঞ্চরাত্রের প্রণেতা এই প্রাচীন ঋষি শাগুিল্য। তাহা হইতেও পারে, না হইতেও পারে ; পঞ্চরাত্রে ভাগবত ধৰ্ম্ম কথিত হইয়াছে বটে, কিন্তু এইরূপ সামান্ত মূলের উপর নির্ভর করিয়া স্থির করা যায় না যে, শাণ্ডিল্যই পঞ্চরাত্রের প্রণেতা। ফলে প্রাচীন ঋষি শাণ্ডিল্য যে ভক্তি ধর্মের এক জন প্রবর্তক, তাহ বিরেঞ্জ করিবার অনেক কারণ আছে। কথিত ভাষ্যে জ্ঞানবাদী শঙ্কর, ভক্তিবাদী শাণ্ডিলেং করিয়া বলিতেছেন – “বেদপ্রতিষেধশ্চভবতি । চতুষু বেদেষু পরং শ্রেয়োইলন্ধ শাঞ্জি মধিগতবান। ইত্যাদি বেদনিন্দ দর্শনাৎ। তস্মাদসঙ্গত এষা কল্পনা ইতি লিঃ
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।