গুরু। এক্ষণে জ্ঞান সম্বন্ধে ভগবঢুক্তির সার মর্শ্ব শ্রবণ কর। চতুৰ্ধাৰ্যায়ে আপনার অবতার-কথন সময়ে বলিতেছেন - বীতৰাগভয়কোবা মায়া মামুপাশ্ৰিতা। o বহবো জ্ঞানতপসা পূতা মদ্ভাবমাগতা: ॥ ৪ । ১• । ইহার ভাবার্থ এই যে, মনেকে বিগতরাগভয়ক্রোধ, মন্ময় ( ঈশ্বরময় ) এবং আমার উপাশ্রিত হইয়া জ্ঞান তপের দ্বারা পবিত্র হইয়া আমার ভাব অর্থাৎ ঈশ্বরত্ব বা মোক্ষ প্রাপ্ত হইয়াছে। শিষ্য। এই জ্ঞান কি প্রকার ? গুরু। যে জ্ঞানের দ্বারা জীব সমুদায় ভূতকে আত্মাতে এবং ঈশ্বরে দেখিতে পায়। যথা— যেন ভূতান্তশেষেণ দ্বক্ষস্তাত্মন্তথোময়ি। ৪ । ৩৫ ৷ শিষ্য। সে জ্ঞান কিরূপে লাভ করিব ? গুরু। ভগবান তাহার উপায় এই বলিয়াছেন, তদ্বিন্ধি প্ৰণিপাতেন পরিগ্রশ্নেন সেবয়া । উপদেক্ষ্যস্তি তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদৰ্শিনঃ ॥ ৪ । ৩৪ ৷ অর্থাৎ প্ৰণিপাত, জিজ্ঞাসা এবং সেবার দ্বারা জ্ঞানী তত্ত্বদশাদিগের নিকট তাহ অবগত হইবে । শিষ্য। আপনাকে আমি সেবার দ্বারা পরিতুষ্ট করিয়া প্ৰণিপাত এবং পরিপ্রশ্বের সহিত জিজ্ঞাসা করিতেছি, আমাকে সেই জ্ঞান দান করুন। : গুরু। তাহা অামি পারি না, কেন না আমি জ্ঞানীও নহি, তত্ত্বদশাঁও নহি । তবে একটা মোট সঙ্কেত বলিয়া দিতে পারি। জ্ঞানের দ্বারা সমুদায় ভূতকে আপনাতে এবং ঈশ্বরে দেখিতে পাওয়া যায়, ইতিবাক্যে কাহার কাছার পরস্পর সম্বন্ধ জ্ঞেয় বলিয়। কথিত হইয়াছে ? শিষ্য। ভূত, আমি, এবং ঈশ্বর। » à )
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।