পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষে এক হইয়াছে তাই বৰ্ত্তমান আরাধনা প্ৰণালীমধ্যে বিলক্ষণ প্রকাশিত । আরা- ৷ ধনায় ব্ৰহ্মকে যখন তুমি বলিয়া সম্বোধন করা হয়, তখনই ব্যক্তিত্ব পরিস্ফুট এবং : বৈদিক ভাব উজ্জ্বলতর হইয়াছে। কিন্তু যাঁহাকে তুমি বলিয়া সম্বোধন করা : হইতেছে, তিনি ঠিক বেদান্তের ব্রহ্ম, কেন না। সকল প্রকারের মানবীয় ভাববিবি র্জিত ব্ৰহ্মস্বরূপগুলি অবলম্বন করিয়া সমগ্র আরাধনা নিম্পাদিত হইয়া থাকে। এতদূর অগ্রসর হইয়াও পুরাণে যে একটি নূতন বিষয় উপস্থিত হইয়াছিল তাঙ্গা আরাধনায় তেমন পরিস্ফুট হয় নাই। উহাকে পরিস্ফুট করিবার জন্য, উপাসনার শেষাঙ্গ উপস্থিত। , বুদ্ধি। অনেকগুলি কথা পলিলে। বলিতে বলিতে হঠাৎ বলিয়া ফেলিলে পুরাণ একটি নূতন বিষয় উপস্থিত করিয়াছিল, তাহা এখনও পরিস্ফুট হয় নাই। আমি বুঝিতেছি, সাধু মতাজনগণের সঙ্গে মিলনের কথা তুমি ইহার দ্বারা তুলিতেছ। ধানের সময়ইতে ওকথা তুমি এক প্রকার বলিয়া শেষ করিয়াছ, আবার পুরাণের নূতন বিষয় লইয়া টামাটানি কেন ? ) বিবেক । তুমি একটী কথা বলিবামাল যে ভিতরকার কথা বুঝিয়া ফেলিয়াছ, ইহাতে আমি সন্তুষ্ট হইলাম। কিন্তু আমি যে সকল কথা তোমায় বলিয়াছি, সেগুলি আরও একটু গভীর ভাবে যদি তুমি হৃদয়ঙ্গম করিতে তাহা হঠিলে তোমায় আর গোলে পড়িতে চ ট ত না। আমি। পূৰ্ব্ববারে তোমাকে বলিয়াছি, - “আরাধনায় ভিন্ন ভিন্ন স্বরূপের আলোচনাকালে, তাহারা (ঋষি মহর্ষি সাধু মহাজনগণ ) সেই সেই স্বরূপের সহিত আরাধনায় নিযুক্ত জীবের সহিত অভিন্ন হইয়াছেন, যাঙ্গ সমুদায় স্বরূপ আনন্দে অখণ্ড হইয়া পড়িল, তাহারাও সে সময়ে আরাধনায় নিযুক্ত জীবের সহিত অখণ্ড ও এক হটিয়া গেলেন।” দেখ এখানে ঈশ্বরের স্বরূপের প্রতিনিধিগণ যেমন সেন্ট সেই স্বৰূপে ঈশ্বর সহ অভিন্ন হইয়া । রহিয়াছেন, সেক্টরূপ ধানকালে আরাধনায় নিযুক্ত জীব সহ ও তাহারা অভিন্ন । হইয়া আছেন, এখনও ভিন্ন হইয়া সঙ্গসাধক হইয়া ঠাঁহাকে মিলনসুখ অৰ্পণ । করিতে পারেন নাই। স্তোত্রে সেইটি হইবার সময় উপস্থিত। সুতরাং স্তোত্ৰ । দেব ও মানবের সংযোগসাধক । বুদ্ধি। কথাটা বুঝি বুঝি করিয়া বুঝিতেছি না, একটু স্পষ্ট করিয়া ।