পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধি। প্রতিদিন নব নব সত্য নব নব ভাব লাভের কথা তুমি বলিতেছ, ইহাতে তো প্রাচীন কালের সঙ্গে যোগ কাটিয়া গেল। তবে আর কেন প্রাচীনকালের পবচনপাঠ ? বিবেক । সত্য কি, ভােব কি ইহা না বোঝাতেই তোমার এরূপ ভ্ৰম ঘটিয়াছে। সত্যের নিকটে প্রাচীন ও নবীন নাই, কেন না। সত্য অতি প্রাচীন ও অতি নবীন উভয় চ। সত্য এক অখণ্ড বস্তু ; তাহাতে পূৰ্ব্বাপরের বিরোধ নাই। একই সত্যের কতকটা পূৰ্ব্বে দৃষ্ট হইয়াছে, এবং সেই কতকটার সঙ্গে অভেদ্যভাবে সংযুক্ত আর কতকটা এখন দেখিতেছি, ভবিষ্যতে আবার পূর্বের সহিত সংযুক্ত আরও কতকটা দৃষ্ট হইবে। সত্যসম্বন্ধে যাহা বলা হইল ভাবসম্বন্ধেও তাহা বলা যাইতে পারে, কেন না ভাব সীতামূলক । , বুদ্ধি । তোমার একথা ভাল করিয়া বুঝতে পারিলাম না। প্রাচীন যে সে প্রাচীন, নূতন যে সে নূতন, এই তো বুঝি । সিবেক। প্ৰত্যেক উপদেশ বা বিশেষ প্রার্থনার মধ্যে প্রাচীন কথার উল্লেখ থাকে, ইহা দেখিয়া মনে হয়, এ আবার নূতন কি ? কিন্তু অভিনিবেশসহকারে দেখিলে দেখিতে পাওয়া যায়, প্রাচীন হইতে নবীন উদ্ভূত হইতেছে। প্রাচীনকে ভূমি করিয়া নবীনের উত্থান হয়, এজন্য প্রাচীনের সঙ্গে নবীনেব । সংস্রব ঘোচে না। যে মনে করে প্রাচীনের সঙ্গে সকল সংস্রব ত্যাগ করিয়া । একটা কিছু নূতন করিবে, সে আ খুবঞ্চনা করে, অপরকে ও বাচ্চাকুরী: , বঞ্চিত করে। সত্য যখন অখণ্ড, তখন প্রাচীনকালে উহার কতকটা প্ৰকাশ পাইয়াছে বলিয়া তৎ প্রতি অনাদর হইবে কি প্রকারে ? বুদ্ধি। এ সকল কথায় আর প্রয়োজন নাই। এখন উপদেশ-ও-বিশেষ প্রার্থনাসম্বন্ধে যাহা বলিবার আছে ব’ল । , বিবেক। তৎসম্বন্ধে যাহা বলিবার তাহা বলিয়াছি, কিন্তু অন্য কথার বাবধানে সে কথাগুলি আচ্ছাদিত হইয়া °छिश्वाहछ, অত এল সংক্ষেপে সেই কথাই বলি। সাধু মহাত্মাদিগের সহিত এক হইয়া যে উচ্চভূমি লাভ হইল, সেই ভূমিতে আত্মা ঈশ্বরের সহিত বিশেষ যোগে সংযুক্ত হইল, নবভাব উদ্দীপ্ত হইল, পূৰ্ব্বদৃষ্ট সত্য আপনার ভিতরকার নবভাব তাহার নিকটে ব্যক্ত করিল। এই নব ভাবে উদ্দীপ্ত হৃদয় সত্যের নবীনতার ঔজ্জ্বল্যানুভব করিয়া কৃতাৰ্থ ও ধন্ত ।