পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেন সত্য ; কিন্তু অনন্তের পরেই যখন তাহারা প্রেমস্বরূপের ব্যাখ্যায় আসেন, , তখন তাহাদিগকে এমন কতকগুলি কথা বলিয়া অনন্ত ও প্রেম এ দুইয়ের মধ্যে যে ব্যবধান ঘটে, তাহা ঘুচাইয়া লইতে হয়, যাহাতে অন্ততঃ দু চারি কথাতেও অনন্তের অপর পক্ষের উল্লেখ হয়। এই ঠাগাদের গুটিকয়েক কথায়, বিস্তৃত ভাবে না হউক, সংক্ষেপে অনন্তের অপরদিক্‌ আরাধনার অন্তর্গত হইল এবং পূর্ব হইতেও আছে। অতএব উহারই উপরে ভর করিয়া সে সকল ব্যক্তির সঙ্গে উপাসনায় যোগরক্ষা করা যাইতে পারে। বুদ্ধি। এখানে তুমি যোগরক্ষার উপায় বলিয়া দিয়া অন্তরকে তুষ্ট করিলে ভালই, কিন্তু ‘সত্যং জ্ঞানমনন্তং” প্রভৃতি উচ্চারণকালে “রসো বৈ সঃ’ উচ্চারণ না করিলে যে কেমন বাধ বাধ বােধ হয়, তৎসম্বন্ধে তুমি কি সমাধান করিবে ? : বিবেক। আরাধনার মন্ত্র সকলগুলি উচ্চারিত হইল না, অথচ ব্যাখ্যানকালে উচ্চারিত হইলে যাহা হইত সেইরূপে ব্যাখ্যান হইল। ইহাতে তুমি যদি মৃদুস্বরে বা মনে মনে রসো বৈ সঃ’ উচ্চারণ কর, তাহাতেই তোমার প্রেরণার প্রতি সম্মাননা সিদ্ধ হইল। এ শ্রুতি প্ৰবচনটির কথা কিছু গোপন রাখ নাই, সকলকে জ্ঞাপন করিয়াছ, এখন উহা অপরে যদি উচ্চারণ না করেন ; তুমিতো আর বলপূর্বক উচ্চারণ করাইতে পার না । সময়ে যখন সকলে গ্ৰহণ করিবেন । তখন আর কোন গোল থাকিবে না। এখন তোমার এই কৰ্ত্তব্য যে, তুমি উটি ( ) এমনভাবে উচ্চারণ করা যাহাতে যাহারা আজও উচ্ছা গ্ৰহণ করেন নাই, তাহাদের মনের উদ্বেগ না জন্মায়। তুমি উহা উচ্চারণ এফরিয়া থাক, এইটি যদি তুমি প্রকাশ্যে জ্ঞাপন করিয়া থােক, তাহা হইলেই তোমার অন্তরের প্রেরণার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হইল। " বুদ্ধি। ‘হে সত্যস্বরূপ, আমাদিগের নিকট প্রকাশিত হও” এ্যস্থলে ‘প্রকাশিত : থাক” এইরূপ উচ্চারণ করা তুমি সঙ্গত মনে কর, অথচ আমাদের সকলকে - সকলের সঙ্গে প্রার্থনা উচ্চারণ করিবার সময়ে কাহারও ব্যাঘাত না জন্মে। এজঙ্গ । ‘প্রকাশিত হও” বুলিতে হয়, ইহাতো স্পষ্ট জ্ঞানের বিরোধী কার্য। আমার মনে । " .. হয় ইহাতে বিশেষ অপরাধ ঘটে, এমন কি কপটাচার পর্য্যন্ত আইসে। বল এ |