পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ধৰ্ম্মত্ত । া রাধনার আস্তে গেলে যে স্বাক পড়ি, তাহা কি মিটিয়াছিল ? বিৱক যে কাদের আরাধনার গুটিকয়েক মাত্ৰ লেখা হইয়াছিল, সব আরাধনাতো লেখা হয় নাই। থাকিলে, কি প্রকারে ক্ৰমোঙ্গেয় হইয়াছিল দোনাইতে পাতি ; আরাধনা যখন বুদ্ধিপূৰ্ব্বক উদ্ভুত হয় নাই, ভগবৎ প্রেরণায় উদ্ভুত হইয়াছে. তখন যাহা লেখা হয় নাই, তাহাতে কি ছিল, ক্ৰমো শ্লেষের নিম ধৰিয়া বলা যাইতে পারে ; “অনন্ত অনন্ত, সত্য অনন্ত জ্ঞান হইয়া মাদিগের জ্ঞানের অতীত হ’ল । কে সেই সত্যকে তার জানিবে, কে সেই জ্ঞানের অন্ত পাইবে, উহার সীমা নাই, উহার অন্ত নাই । .. …. অামি ও তিনি এই মাত্ৰ বুৰা গেল, আর কিছু বোঝা গেল না । উপনিষৎ ; ভাবিতে ভাবিতে অদ্বৈতবাদে গিয়া দাড়াইল । সাধক ভীত হইয়া আত্মার দিকে দৃষ্টিপাত করি লেন, উপনিষৎ অতিক্ৰম করিয়া প্ৰেমভক্তির শাস্ত্ৰ বাহির হইল। হরিলীলা সাধকের নয়নগোচর হইল । এই লীলার কথা বলিতে বলিতে সাধকের চৈতন্য হইল, তখন তিনি প্রোমের বাণ নিক্ষেপ করিলেন । মঙ্গলময়র সাক্ষাৎকার হইল ।” দেখ এই কথাগুলির মধ্যে কেমন সুস্পষ্ট অনন্তের সঙ্গে প্রেমের যোগ করিতে গিয়া ভগবল্লীলা প্ৰত্যক্ষ করা প্রয়োজন হয় উল্লিখিত আছে অনন্তের ভাবপক্ষে কি ভগবল্লীলার উল্লেখ হয় না ? বুদ্ধি । আমি আশ্চৰ্য্য হইয়া যাইতেছি, তুমি পূৰ্ব্বাপর কেমন আশ্চৰ্য্যভানে মিলাইয়া দেও । আমার মনে হয় না তুমি এ সকল ভাবিয়া চিন্তিয়া কর। যদি তাহা করিতে তাহা হইলে যখন অনন্তের ভাবপক্ষের কথা বলিয়াছিলে, সেই সময়ে একথাও তো তখনই বলিতে, পারিতে ? বিবেক । তুমি যেমন প্রশ্ন কর, আমি তেমনই তাহার উত্তর দেই। পূৰ্ব্ব হইতে ভাবিয়া চিন্তিয়া কিছু বলিবার প্রয়োজন করে না, কথায় কথা উদ্ভুত হয়, এবং উত্তর দেওয়াই স্বাভাবিক । তদন্তুসারে অনন্তের ভাবপক্ষের নিষ্কৰ্ষ আমি এই কথায় করিয়াছি—“অনন্তব্ৰহ্মের অন্তভুত সমুদায় জগৎ ও জীবের তৎসহ সম্বন্ধাবলম্বনে যে আরাধনা উপস্থিত হয়, তাহাকেই অস্বয়পক্ষের অনন্তের তারাধনা বলে । যে শাস্ত্ৰ সম্বন্ধাবলম্বন করিয়া লিখিত , উহা ভক্তিশাস্ত্ৰ, এবং এই সম্বন্ধ জন্যই ভগাবলীলা প্ৰকাশ পায় । দেখ, বুদ্ধি, এই ভাবপক্ষের আরাধনা কেশবচক্রের কথার সঙ্গে সম্পূৰ্ণ মিলিয়া যাইবে, ইহা আমি পূৰ্ব্বে কিছুমাত্ৰ চিন্তা।