পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মতত্ব। ১৩৩ ( ) বুদ্ধি। কেশবচন্দ্রের দেহ হইতে অন্তৰ্দ্ধানের পর এ নূতন উপায় অবলম্বিত । হইয়াছে। তঁহার সময়ে কি এরূপ উপায় কখন অবলম্বিত হইয়াছিল ? বিবেক। হা, হইয়াছিল। যখন প্রথমে দৈনিক উপাসনা প্রতিষ্ঠিত হয়, st affia 'Altar at Home' নামক প্রার্থনা পুস্তক হইতে প্ৰতিদিন একটা প্রার্থনা অনুবাদিত হইয়া পঠিত হইত। র্যাহার প্রতি অনুবাদ করিয়া পড়িবার ভার ছিল, তিনি সে সময়ে সমগ্ৰ গ্ৰন্থখানির অনুবাদ করেন। অনুবাদ মুদ্রিত হয় নাই, হারাইয়া গিয়াছে। y বুদ্ধি । হৃদয়কে উচ্চ ভূমিতে তুলিবার জন্য কেবল প্রার্থনা পঠিত হয় কেন ? উপদেশাদি পড়িলে কি সে কাজ হয় না ? বিবেক। প্রার্থনাকালে সাধকের আত্মার সমগ্রভাব প্রকাশ পায়, ভাবস্তরের সংমিশ্রণ তাহাতে থাকে না, বক্তব্য বিষয়টি বিবৃত করিবার জন্য অবাস্তর বিষয় আসিয়া জোটে না, সুতরাং হৃদয়কে তদ্ভাবাপন্ন করিয়া লইতে হইলে প্রার্থনাই তৎসম্বন্ধে বিশেষ উপযোগী । বুদ্ধি। আচ্ছা, অন্য কাহারও প্রার্থনা পাঠ না করিয়া এক কেশবচন্দ্রের প্রার্থনা কেন পঠিত হয় ? বিবেক । যাহার কেশবচন্দ্রের প্রার্থনাপাঠ করেন, তাহারা কেশবচন্দ্রের সহ সাধক। প্রার্থনাকালে সে প্রার্থনার সঙ্গে তঁহাদের হৃদয়ের সায় ছিল, প্রার্থনানুরূপ জীবনগঠনে তাঁহাদের সঙ্কল্প ছিল। সে সঙ্কল্প নানা কারণে সিদ্ধ হয় নাই। এখন সেই সঙ্কল্প স্মরণপথে আনয়ন করিয়া তৎসিদ্ধির জন্য যত্ন ও : সাধন পূৰ্ব্ব প্রার্থনাপাঠের উদ্দেশ্য । এতদ্বারা পূৰ্ব্বানুভূত বিষয়ের মধ্যে আনুষঙ্গিক যে তত্ত্ব তৎকালে লুকায়িত ছিল তাহা ও প্রকাশ পায় । এ সকল উদ্দেশ্য র্যাহাঁদের নাই, আমি পুনরায় বলিতেছি, তাহদের পক্ষে কেশবচন্দ্রের প্রার্থনাপাঠকরা বিধেয় নহে ? . . . . বুদ্ধি। এরূপ ভাবে কোন ব্যক্তির প্রার্থনাপাঠ করিলে কি তঁহাকে মধ্যবৰ্ত্তী করা হয় না ? বিবেক। র্যাহারা প্রার্থনাপাঠেই সকল হইল আর কিছু করিবার নাই মনে করেন, তঁহাদের এ দোষ ঘটে । কিন্তু পাঠে পূৰ্ব্ব সঙ্কল্প উদ্দীপন, এবং সে সঙ্কল্পসিদ্ধির জন্য সাধন ও প্ৰযত্ন, পূর্বে লুকায়িত ভাবে অবস্থিত। তত্ত্বের পরিগ্রহ,