১৩৫ ৷৷ প্রশ্নানুসারে প্রত্যেক অঙ্গসম্বন্ধে পার্থক্যের কারণ বলিলে বোধ হয়, তোমার সংশয় দূর হইতে পারে। । বুদ্ধি। যদি সংশয় দূর হয়, তাহা হইলে বড়ই আহিলাদিত হইব। | বিবেক। আমি বলিয়াছি, বহির্বিষয় হইতে মনকে ঈশ্বরের দিকে আনয়ন । করিবার জন্য উদ্বোধন করা হইয়া থাকে। এখানে আকাঙ্ক্ষা কি ? মনকে | উদ্ধৃদ্ধ করিয়া ঈশ্বরের দিকে আনয়ন। এ আকাঙ্ক্ষাকে প্রার্থনা বলতে চাও বলিতে পার, কিন্তু এ প্রার্থনা উদ্বোধন ভিন্ন অন্য কোন বিষয়ের জন্য নিতে । সুতরাং প্রার্গিতব্য উদ্বোধন অন্য সকল প্রার্থনা হইতে যখন ভিন্ন হইল, তখন । উদ্বোধন বলিয়া একটা অঙ্গ থাকিবে না কেন ? বুদ্ধি। তুমি যাহা বলিলে তাহা বুঝিলাম, আরাধনাসম্বন্ধে কি বলবে ? বিবেক । আরাধনার মধ্যে কোন আকাজক্ষা বিদ্যমান ভাল করিয়া ভাবিয়া দেখ। দেখিতে পাইবে, এখানে ঈশ্বরের স্বরূপে আবিষ্ট হইবার জন্য সাধকের আকাজক্ষা, অন্য কোন আকাঙ্ক্ষা এখানে নাই। স্বৰূপে আবিষ্ট হইবার আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা সাধারণতঃ যাহাকে প্রার্থনা বলা যায় তজ্জাতীয় কখনই নহে । যদি তজজাতীয় না হইল, তবে আরাধনার একটা স্বতন্ত্র স্থান উপাসনা মধ্যে থাকিবে না কেন ? বুদ্ধি। স্বরূপে আবিষ্ট হওয়া কথাটা ভাল করিয়া বুঝিলাম না। কথাটা । ঠিক বুঝিলে তোমার যুক্তি ঠিক হইল কি না বলিতে পারি। - বিবেক। আরাধনাসম্বন্ধে তোমায় এত কথা বলিয়াছি, অথচ ঈশ্বরের স্বরূপ আবিষ্ট হওয়া বিষয়টা কি, তুমি বোঝা নাই আশ্চৰ্য্য। দেখিতেছি, - আমি | এতদিন যাহা বলিয়াছি, তৎপ্রতি তুমি তেমন মনােযোগ দাও নাই, তাই মূল । কপাটাই ভুলিয়া গিয়াছ। সত্য জ্ঞান প্ৰেম পুণ্য ইত্যাদি স্বরূপগুলির অনুরূপ । স্বরূপ আমাদের আছে। ব্ৰন্ধে এ সকলই অনন্ত, আমাদিগেতে ওগুলি বিন্দু | • বিন্দু। কিন্তু জানিও এই বিন্দুই ক্রমে সিন্ধু হয়। আরাধনায় এক একটি স্বরূপ যখন আমাদের চিত্তগোচর হয়, তখন আমাদের ভিতরে যে সেই সেই | স্বরূপবিন্দু আছে তাহারা তন্দ্বারা স্পষ্ট হইয়া পুষ্ট ও বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে । পুষ্ট । ও বৰ্দ্ধিত হয় কেন ? আমাদের স্বরূপমধ্যে ভগবৎস্বরূপ आर्निहै श्वांछ 92 खछ । আমার মনে পড়িহোেছ, আমি দেহের অন্নপান গ্রহণের সঙ্গে আত্মার অন্নপান
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।