পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y ধৰ্ম্মতত্ব । সত্য, সত্তা বা ব্ৰহ্মশক্তি সৰ্ব্ব প্রকার রূপের উপাদান। শক্তি যদিও রূপ নঙ্গে, কিন্তু শক্তির বিচিত্রসন্নিবেশ রূপ। ধরিতে গেলে ছুইতে গেলে শক্তি বিনা আর কিছুই প্রত্যক্ষ উপলব্ধির বিষয় হয় না, কিন্তু উহার বৈচিত্ৰ্য কত বৰ্ণ কত রূপ ! শক্তি আকারশূন্য হইয়াও এমন নিরেট সামগ্ৰী যে, উহার মত নিরেট আর কিছুই নয়। বর্ণ ও রূপ উহার কাছে ধোয়ার মত। এই ধোয়া ধরিতে গিয়া আমরা বস্তু ধরিয়া ফেলি । ། ཡ་་་་་་་་་་་་་ বুদ্ধি। ধোয়া ধরিতে গিয়া বস্তু ধরিয়া ফেলি, উহার অর্থ কি কিছুই বুঝিতে পারিলাম না । বিবেক । ধোয় বলি কাকে ? যাহা মুহুর্তের পরে বিলীন হইয়া যায়। রূপ যে সেই রূপ সামগ্ৰী ইহা কি আর তোমায় বলিয়া দিতে হয় ? ধোঁয়া কয়েক মিনিটের পর আকাশে মিলাইয়া যায়, রূপ না হয় তদপেক্ষা বেশী সময় থাকে, किसृ, ऐ8झांद्र ७ ८श মুহুমুহু পরিবর্তন হইতেছে, পরিবর্তন হইতে হইতে একেবারে উড়িয়া যাইতেছে। কিন্তু রূপ ধরিতে গিয়া যে শক্তি সাক্ষাৎ উপলব্ধির বিষয় হয়, তাহা কি আর কখন উড়িয়া যায় ? পূৰ্ব্বকার সাধকেরা এই বিষয়টি বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য শক্তির স্থলে স্বর্ণ ও মৃত্তিকা, এবং রূপের স্থলে কুণ্ডলাদি অলঙ্কার ও ঘটাদি সামগ্ৰী গ্ৰহণ করিতেন। স্বৰ্ণ উপাদান তাহা হইতে কুণ্ডলাদি অলঙ্কার, মৃত্তিক উপাদান তাহা হইতে ঘটাদি সামগ্ৰী উৎপন্ন হইল, আবার যখন কুণ্ডলাদি এবং ঘটাদির আকার চলিয়া গেল তখন সেই স্বর্ণ ও মৃত্তিক যেমন তেমনই রহিল । সত্যের পাশ্বে রূপকে রাখিয়া সাধনে এই প্ৰণালীই গ্ৰহণ করা হইয়াছে। রূপের সঙ্গে শক্তিকে গাগ্লিয়া লইয়া “ভাব, দেখিবে রূপ তোমায় লইয়া গিয়া সত্তা বা সত্যের সন্নিধানে উপস্থিত করিবে । বুদ্ধি । কথাগুলি বুঝিলাম, কিন্তু সাধনের প্রণালী ধরিতে পারিলাম না । । বিবেক । ভাল করিয়া মনোনিবেশ কর, আপনি সাধনে প্ৰবৃত্ত হও, তবেতো বুঝিতে পরিবে । চারিদিকে কি দেখিতেছি ? কতকগুলি রূপ দেখিতেছ। সাধারণ লোকে রূপে বদ্ধ হইয়া থাকে, তুমি রূপে বদ্ধ থাকি ও না । ] রূপ কোথা হইতে আসিতেছে, প্রতিনিয়ত তাহা চিন্তা ও প্রতাক্ষের বিষয় । করিতে গিয়া রূপের সঙ্গে সত্তা বা শক্তি প্ৰতিমুহূৰ্ত্ত তোমার জ্ঞানগোচর হইবে। শেষে শক্তি জ্ঞান এমনই উজ্জ্বল ও প্রত্যক্ষ হইবে যে রূপ তাহার ভিতরে বিলীন- ,