পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মতত্ত্ব । Scts প্ৰায় হইয়া যাইবে, অথবা শক্তিতে ওতপ্রোতভাবে অবস্থিত এইরূপ প্ৰত্যক্ষ হইবে । প্রথমটি যোগের দ্বিতীয়টি ভক্তির ফল । । বুদ্ধি । তুমি যাহা বলিলে তাহা সাধন না করিলে প্ৰত্যক্ষ হইবার বিষয়। নয় । একটি যোগের ফল, আর আর একটি ভক্তির ফল, এ কথায়ী অর্থ ভাল করিয়া বুঝিতে পারিলাম না । বিবেক ! সত্য, সত্তা বা শক্তিকে প্রতাক্ষের বিষয় করিতে গিয়া যোগ তাহাতে এমনই মগ্ন হইয়া পড়ে যে, তদন্তিরিক আর কিছুই প্ৰতীতির বিষয় । থাকে না । ভক্তি ভগবল্লীলা দর্শনে পরিপুষ্ট হয়, সুতরাং সকল বস্তুতে সকল ব্যক্তিতে সেই সত্য সত্তা বা শক্তির লীলাবলোকন করে, এজন্য য’হাতে লীলাপ্ৰকাশ পায় তাহাও তাহার সম্মুখে থাকে। ভক্তি জন্মিবার পূৰ্ব্বে বস্তু ও ব্যক্তি যে ভাবে দৃষ্ট ঠাইত, এখন আর সেভাবে দৃষ্ট হয় না । ভক্তি যখন উহাদিগকে ভগবদাবির্ভালে পূর্ণ দেখে, তখন উহাদের সৌন্দৰ্য আর ধরে না। এ সৌন্দর্য্যে ভগবৎসৌন্দৰ্য্য প্ৰকাশ পায়, সুতরাং উহা বন্ধনের কারণ হয় না, ভগবানের স্বরূপ রসে মগ্ন করে । বুদ্ধি । সত্য বা সত্তাতে মগ্ন হইলে তদাতিরিক্স সকল উড়িয়া যায়। এইটি যোগের পথ, ঈশ্বরসত্তাতে পূর্ণ জগৎ অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্য প্ৰকাশ করে, এইটি ভক্তির পথ । এ দুইয়ের মধ্যে শেষটি আমার ভাল লাগে, কেন না। ইহাতে সত্তা ও রূপ এ দুই একত্ৰ প্ৰকাশ পায় । বিবেক । প্রথমটি না হইলে দ্বিতীয়টি সিদ্ধ পায় না, এ জন্য সাধনাপীীর প্ৰথমে সত্তাসাধন প্রয়োজন। সত্তাসাধনে সিদ্ধ হইলে. তৎপর সেঈ সত্তাতে সমস্ত জগৎ ও জীবকে পূর্ণ দেখিয়া সাধক সৰ্ব্বত্র ভগবৎসৌন্দৰ্য্যদর্শনে কৃতাৰ্থ श्न। 叫而9西ta1

  • বুদ্ধি। এখন শব্দ ও জ্ঞান এ দুইয়ের একত্র সন্নিবেশে যে সাধন হয়, " তাহা কিরূপে হইতে পারে দেখাইলে সুখী হইব ।

বিবেক । এক একটি বস্তুর সঙ্গে একটি একটি শব্দ মানুষের মনে গাঁথিয়া । গিয়াছে। সেই শব্দটির উচ্চারণ হইবামাত্র সেই বস্তুটি নিকটে না। থাকিলেও :