পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/২৭

ਖ਼ਾਲਾ | . বিবেক । কৰ্ম্ম করিতে গিয়া অভিমান উপস্থিত হয়। এই অভিমানে । ধৰ্ম্মজীবন শীঘ্রই বিপদগ্ৰস্ত হইয়া পড়ে, ইহা দেখিয়াই অনেক লোকে কৰ্ম্ম হইতে । বিরত থাকাই শ্রেয়স্কর মনে করে। যাহারা আপনার ইচ্ছার অনুসরণ করিয়া । কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত হয়, তা হাদৈর কৰ্ম্ম হইতে অভিমান উপস্থিত হইবে, ইহা আর | অসম্ভব কি ? নিজের ইচ্ছা যত প্রবল হইতে থাকে, তত স্বেচ্ছাচারের দ্বার | খুলিয়া যায়। যেখানে স্বেচ্ছাচার সেখানে তাহার সঙ্গে অভিমান আসিয়া যোটে। ৷ এরূপ অবস্থায় অভিমানের ভয়ে ব্ৰহ্মযোগাকাজক্ষগণ কৰ্ম্ম হইতে বিরত श्ड অভিলাষ করবেন, হঁহা তাহাদিগের পক্ষে স্বাভাবিক। যেখানে নিজের ইচ্ছা! নাই, ঈশ্বরের ইচ্ছ। ক্রিয়ার মূল, সেখানে আভমান উৎপন্ন হইবে কি প্রকারে ? ঈশ্বরের ইচ্ছ। প্রতিপালন করতে গিয়া। অভিমান হওয়া দূরে থাকুক, আপনি কিছুই নাই এই জ্ঞান প্রবল হয়। এখানে ঈশ্বরের ই ছা প্ৰ। তপালনের অভিলাষ। তৎপালনে নিয়োগ করে। ፷g 5áf: 4 অভিলাষ কখন বন্ধনের কারণ হয় না। : বুদ্ধি। ঈশ্বরের ইচ্ছাপালনে অভিলাষ দূষণীয় নহে, ইহা বুঝিতে পারা গেল। ভালবাসার সঙ্গে যে অভিলাষ সংযুক্ত থাকে, তাহাতে মায়া মমতা উপস্থিত করিয়া বন্ধনের কারণ হয় এ সম্বন্ধে তুমি কি বল ? বিবেক । ঈশ্বর ও মানৰ উভয়ের প্রােতই ভালবাসা হইয়া থাকে । ঈশ্বরের প্ৰতি ভালবাসা যে দূষণীয় নয়, ইহা স্বতঃসিদ্ধ। মানবের প্রতি ভালবাসাগর বা অন্ধতা উপস্থিত হয়, ইহাই চিন্তার বিষয় । ভালবাসার সঙ্গে অভিলাষ সংযুক্ত থাকে। ইহা সত্য, কিন্তু ভালবাসা যখন স্বাৰ্থশূন্য হইয়া ভালবাসার পাত্রের সঙ্গে । निऊान९यूड, उथन এ স্থলে মঙ্গলসাধনের জন্য যে অভিলাষ নিয়ত উদ্দীপ্ত থাকে, তাহা দূষিত হইবে কি প্রকারে ? বল যেখানে ভালবাসা নাই, নিজের সুখাদির জন্য অভিলাষ আছে, সেখানেই মায়া মমতা বন্ধনের কারণ হয় । । বুদ্ধি। বিবেক, তুমি বলিয়াছ তুমি অভিলাষের বিরোধী নও। অভিলাষ যদি ঈশ্বরের ইচ্ছানুগামী হয়, তাহা হইলে তাহাতে ধৰ্ম্মজীবনের ক্ষতি না হইয়া । । বরং ধৰ্ম্মজীবন উন্নত হয়। যদি এরূপই হইবে, তাহা হইলে সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায় । অভিলাষের বিরোধী কেন ? ) বিবেক । আমি 6,उl Cउtभlश्न বলিয়াছি, যে অভিলাষের বিরোধে সাধকগণ । সাধন করিয়াছেন, সে অভিলাষ সংসারাভিলাষ। সংসারাভিলাষ পরিত্যাগ না ।