পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করি, পরীক্ষায় তোমার চৈতন্যোদয় হইয়াছে; এখন আর তুমি অন্তরের - « আলাে প্রতি কোন কারণে উপেক্ষা করিবে না। অন্তরাত্মা । তামায় যে যে - বিষয়ে উচিত নয়? বলিয়াছিলেন, তুমি সেই সেই বিষয়ে অন্যাধীনতাবশতঃ । अ বহেলা করিয়াই তো অগ্নিপরীক্ষায় পড়িয়াছিলে এবং ऊांशष्ड्रे মনে । গ্রামার , as , .१ অপ্ৰসন্নতা আসিয়াছে। যাহা হইয়াছে তজ্জন্য অনুতপ্ত হইয়া ভবিষ্যতে আর - অন্তরাত্মার কথায় অবহেলা করিব না প্রতিজ্ঞা করিলে, নিশ্চয় তোমার অপরাধের ; ক্ষম হুইবে ; অন্তরে শান্তি ও সন্তোষ প্রত্যাগত হইবে ; আমার সঙ্গে তোমার ! বুদ্ধি। বিবেক, আমি যখন অন্তরাত্মার নির্দেশ না মানিয়া পরীক্ষায় । ". . . . . .

  • অবস্থায় আমার প্রতি তোমার সম্রাম পূৰ্ববং কি প্রকারে থাকিবে ? ?

বিবেক। পরীক্ষা শিক্ষার জন্য। লোকে শত উপদেশ পাইয়াও তদনুসারে । কাৰ্য্য করে না কেন ? কোন একটি বিষয় যতক্ষণ সাক্ষাৎ উপলব্ধির বিষয় না। হয়, ততক্ষণ সে বিষয়ের তথ্য ঠিক তাহার হৃদয়ঙ্গম হয় না ; মনে কর, তুমি কোন একটি শিশুকে আগুন লইয়া খেলা করিতে নিষেধ করিলে, আগুন গায়ে বা কাপড়ে লাগিলে তাহার ঘোর যন্ত্রণা, এমন কি মৃত্যুর সম্ভাবনা ইহাও বুঝাইয়া দিলে, কিন্তু যাই তুমি আড়ালে গেলে অমনি সে আগুন লইয়া খেলা করিতে গিয়া হাত পোড়াইয়া ফেলিল। একবার যখন হাত পুড়িল, তখন সে তোমার উপদেশের সারবত্তা বুঝিতে সমর্থ হইল। যদি সে বুদ্ধিমান শিশু হয়, তাহা হইলে আর কখন তোমার উপদেশে সে অবহেলা করিবে না। শিশুর সম্বন্ধে যে নিয়ম, বয়স্থের সম্বন্ধেও সেই নিয়ম। কোন একটি বিষয়ের প্রতি একান্ত অনুরাগ্যবশতঃ, ভ্রান্তিবশতঃ, অথবা অপরের প্রতি অযুক্ত নির্ভরবশতঃ অন্তরাত্মা বা তদালোকে আলোকবান লোকের কথায় বয়স্থ ব্যক্তি কৰ্ণপাত করে না, সে কথা অগ্ৰাহা করিয়া বিপরীত পথে সে পদার্পণ করে। কিন্তু যখন | এইরূপ । অনবধানতায় ঘোর পরীক্ষানলে সে নিপতিত হয় তখন তাহার চৈতন্যোদয় হয়, " আর এরূপ অন্তরাত্মার কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া পরীক্ষানল প্ৰজ্বলিত করিবে: না বলিয়া সে প্রতিজ্ঞা করে। যদি সে প্রতিজ্ঞা সে অক্ষুন্ন রাখিতে পারে, তাহা । হইলে জীবন নিরাপদ হয়। যখন আধ্যাত্মিক জগৎ সম্পৰ্কীয় বিষয়সমূহেতেও