পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন যখন এক বুঝিলে, তখন সত্য বা সত্তা ও জ্ঞানকেও তুমি এক করিয়া । লইতে পাের। এইরূপ এক করাতে তোমার নিকটে শক্তিসত্তার স্থায় চিৎসত্তা । বিদ্যমান। এই চিৎসত্তার আরাধনা করিতে গিয়া তুমি কি হৃদয়ঙ্গম করিতেছি? - এই হৃদয়ঙ্গম হইতেছে যে, এই চিৎসত্তা তোমার হৃদয়ে আলোক হইয়া বৰ্ত্ত । মান। ইহার নিকটে তোমার কিছুই অবিদিত নাই, অন্তর বাপ্তির তোমার ; সকলই ইহার নিকটে প্রকাশিত। তুমি যে ইহার নিকটে কিছু গােপন করিয়া । রাখিবে তাহার সম্ভাবনা নাই, তোমার ইনি সকলই দেখিতেছেন। তোমার ! সকল গোপন বিষয় ইনি জানিতেছেন, ইহা হৃদয়ঙ্গম করিয়া তোমার ভয় , , লজ্জা উপস্থিত। যেমন একদিকে ভয় ও লজ্জা উপস্থিত, অন্যদিকে আবার | তেমনি তিনি তোমার হৃদয় জানেন, তোমার সকলই বোঝেন, ইহাতে তোমার । আহলাদ উপস্থিত, কেন না। তিনি হৃদয় জ্ঞ, তাহার তুলা তোমার সুহৃৎ। আর কে । হইতে পারে ? তিনি সব জানেন বলিয়া এক দিকে যেমন পাপের শাসন । করেন, অন্য দিকে তেমনি সংশয় ছেদন করিয়া, সত্য প্রকাশ করিয়া, হৃদয় । আলোকিত করিয়া তোমার উপকার সাধন করেন। যখন তুমি এই সকল বিষ৭ আরাধনার বাক্যে প্রকাশ কর তখন জ্ঞানস্বরূপের আরাধনা হয়। যেমন, হে জ্ঞান, তুমি আমায় দেখিতেছি, তুমি আমার হৃদয়ের সকল বিষয় জানিতেছ, তোমার নিকটে আমি কিছুই গোপন রাখিতে পারি না, তুমি আমার পাপ দেখিয়া আমায় শাসন করিতেছি, ভৎসনা করিতেছ, পাপ কেমন করিয়া যায় । তাহার উপায় বলিয়। দিতেছ ইত্যাদি ইত্যাদি। . . অনঙ্গ স্মরূপ । বুদ্ধি। আজতো অনন্তস্বরূপের কথা বলিবে ? অনন্তস্বরূপের আরাধনা করিতে গিয়া মন হাঁপাইয়া পড়ে। মনে হয়, উহাতে কাহারও আনন্দ হয় না। : বিবেক। তুমি যাহা বলিলে তাহার বিপরীতই সত্য। অনন্ত ভিন্ন তৃপ্তি । নাই । যাহা সান্ত, তাহাতে সুখ ও তৃপ্তিও সান্ত। প্রাচীন ঋষিরা এ জন্যই | বলিয়াছেন অল্লেতে সুখ নাই, ভূমাতে श्'। বুদ্ধি। কৈ অনন্তের আরাধনার ভিতরে এমন কথা কাহারও মুখে তো । i BBB BBB BBB BBB BBB SuS বিবেক। অনন্থের আরাধনা দুই প্রকারে সম্ভব। প্রথম ব্যতিরেক পক্ষে }